সিরাজগঞ্জে জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার চেষ্টা ও ভাংচুরের নিন্দা সেক্রেটারি জেনারেলের

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার কয়রা ইউনিয়নের কয়রা চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল তালুকদারের কুলখানীর অনুষ্ঠান থেকে উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল-আযাদকে গ্রেফতারের চেষ্টা এবং পরবর্তীতে মৃত জয়নাল তালুকদার এবং আলাউদ্দিন আল-আযাদের বাড়ীতে পুলিশের ব্যাপক ভাংচুর করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান গতকাল বুধবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার কয়রা ইউনিয়নের কয়রা চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল তালুকদারের বাড়ীতে গত ১লা অক্টোবর দুপুরে দোয়া ও কুলখানীর অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রায় ৫/৭ হাজার লোক হাজির ছিল। দোয়া শেষে খাদ্য পরিবেশনের সময় হঠাৎ করে ১০/১২ জন সাদা পোষাকধারী লোক খাবার লাইন থেকে উঠে আসে এবং উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল আযাদকে ঘিরে ফেলে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়। অথচ গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া সাদা পোষাকধারী পুলিশের কাউকে গ্রেফতার না করার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। যে কারণে সাধারণ জনগণ সাদা পোষাকধারী ব্যক্তিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বাকবিতন্ডা চালায়। উল্লেখ্য যে, মৃত জয়নাল তালুকদার জনাব আলাউদ্দিন আল আযাদের আপন ফুফা। যে কারণে তিনি ঐ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ইতোপূর্বে ২০১৪ সালে সাইদুর রহমান নামক জামায়াতের এক নেতাকে বিবাহের অনুষ্ঠান থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং গুলী করে হত্যা করে। ঐ ধরনের কোন ঘটনার আশংকায় সাধারণ জনগণ উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং সাদা পোষাকধারী পুলিশের সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। ঐ দিন দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মৃত জয়নাল তালুকদারের বাড়ীতে এবং আলাউদ্দিন আল আযাদের বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং ৫জন সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, পুলিশ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। উল্লেখ্য যে, এই মামলায় আসামী করা হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতীয় সংসদের উল্লাপাড়া আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান  এবং বেলকুচি ও চৌহলী আসনে জামাায়াতের মনোনীত প্রার্থী আলী আলম, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলী ও বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেল এবং বেলকুচি ধুপুরিয়া-বেড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রশীদ শামীমকে। অথচ এই ঘটনার সাথে তাদের কারো কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। রাজনৈতিকভাবে তাদের হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই তাদের আসামী করা হয়েছে। ঐ ঘটনার পর থেকে ঐ এলাকায় অব্যাহতভাবে পুলিশের অভিযান চলছে। ঐ এলাকা এখন পুরুষ শূন্য।
তিনি আরো বলেন, দোয়া ও কুলখানীর মত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে লোকদেরকে গ্রেফতারের ঘটনা অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক। এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, পুলিশের অভিযান বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের অবিলম্বে নি:শর্তভাবে মুক্তি  দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।