ক্রাইমবার্তা রিপোটঃরাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লিতে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের কাছ থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, জুয়া খেলার সামগ্রী, নগদ টাকা ও বিনোদনের জন্য সাউন্ড সিস্টেম জব্দ করেছে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লিতে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী রয়েছেন। যৌনপল্লি ঘিরে প্রায় অর্ধশত মাদকের দোকান, কয়েকটি জুয়া খেলার ঘর গড়ে উঠেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপরাধ সংঘটিত করে এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা নিরাপদ মনে পল্লিতে আশ্রয় নিয়ে থাকে। এছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্র ছায়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি বহিরাগত চিহ্নিত মাদক ও জুয়াড়িরা পল্লিতে আসর বসিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা রোজগার করে আসছিল।
জুয়া খেলা, মাদকের আসর ও যৌনকর্মীদের নিয়ে রীতিমতো গড়ে উঠেছিল বিশাল রঙ্গমঞ্চ। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলির নেতৃত্বে জেলা পুলিশ লাইনের অতিরিক্ত ফোর্স ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ যৌথভাবে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত এ অভিযান প
জুয়া খেলা, মাদকের আসর ও যৌনকর্মীদের নিয়ে রীতিমতো গড়ে উঠেছিল বিশাল রঙ্গমঞ্চ। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলির নেতৃত্বে জেলা পুলিশ লাইনের অতিরিক্ত ফোর্স ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ যৌথভাবে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত এ অভিযান প
রিচালনা করে।
এসময় পুলিশ সুপার ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল করিম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফী প্রমুখ সাথে ছিলেন। এছাড়া অভিযানে রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ মিলে অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য অংশ গ্রহণ করেন।
অভিযানে জুয়া খেলার একসেট খড়গুটি, ১০টি গুটি, চড়কি ও খেলার সরঞ্জমাদি, নগদ ২৬ হাজার ৭৮২ টাকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া মদের আসর ও যৌনকর্মীদের দিয়ে গড়ে ওঠা রঙ্গমঞ্চ থেকে ৬টি সাউন্ড সিস্টেম (যেখানে বাদ্যযন্ত্রের তালে যৌনকর্মীদের দিয়ে নৃত্য পরিবেশন করা হয়), ২০ লিটার দেশীয় মদ, ৫টি বিয়ার ও বেশ কিছু মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে হানিফ মৃধাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়। এসময় দুজন যৌনকর্মীসহ ৩০ জন পুরুষকে আটক করা হয়। যাদের বাড়ি রাজবাড়ীসহ ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফী বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলির নেতৃত্বে এক ধরনের শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়েছে। মাদক ও জুয়া খেলা বন্ধ করতে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরাধ দমনে, মাদক এবং জুয়া খেলা বন্ধ করতে আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এসময় পুলিশ সুপার ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল করিম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফী প্রমুখ সাথে ছিলেন। এছাড়া অভিযানে রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ মিলে অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য অংশ গ্রহণ করেন।
অভিযানে জুয়া খেলার একসেট খড়গুটি, ১০টি গুটি, চড়কি ও খেলার সরঞ্জমাদি, নগদ ২৬ হাজার ৭৮২ টাকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া মদের আসর ও যৌনকর্মীদের দিয়ে গড়ে ওঠা রঙ্গমঞ্চ থেকে ৬টি সাউন্ড সিস্টেম (যেখানে বাদ্যযন্ত্রের তালে যৌনকর্মীদের দিয়ে নৃত্য পরিবেশন করা হয়), ২০ লিটার দেশীয় মদ, ৫টি বিয়ার ও বেশ কিছু মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে হানিফ মৃধাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়। এসময় দুজন যৌনকর্মীসহ ৩০ জন পুরুষকে আটক করা হয়। যাদের বাড়ি রাজবাড়ীসহ ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফী বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলির নেতৃত্বে এক ধরনের শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়েছে। মাদক ও জুয়া খেলা বন্ধ করতে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরাধ দমনে, মাদক এবং জুয়া খেলা বন্ধ করতে আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।