মোহাম্মদ হোসেন সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ৪র্থ উন্নয়ন মেলায় মনোযোগ কেড়েছে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার(টিটিসি) এর স্টল। স্টলটিতে সরকারের উন্নয়ন মুখি নানা কর্মসূচি জনগেণর মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সেবা পেয়ে বেশ খুশি মেলায় আগতরা।
২০২১ সালোর মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সাফল্য ও বিশেষ উদ্যোগ সমূহ জনগনের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এ মেলার আয়োজন।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত জেলা স্টেডিয়াম মাঠে তিন দিন ব্যাপী এ মেলা চলছে।মেলায় আগতদের মন কেড়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন পরিচালিত, সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেনটার(টিটিসি) ৷ তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড মেলায় আগতদের সামনে তুলে ধরেন৷অপ্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছাব্বিরুজ্জামান বলেন (টিটিসি)তে ইলেকট্রনিক, ইলেকট্রিক্যাল,কম্পিউটার, গার্মেন্টস,ওয়েলডিং,কার ড্রাইভিং,(ছয় মাস) কোর্স করানো,সহ বিদেশগামী লোকদেরকে তিন দিনের ট্রেইনিং করানো হয় ।মেলার অন্যান্য স্টলের তুলনায় তাদের স্টলের সামনে দর্শনার্থীদের ভীড়ছিলো চোখে পড়ার মতো৷ সাতক্ষীরা(টিটিসি)এর ইলেকট্রিক্যাল,ট্রেডের স্যার,শহিদুল ইসলাম বলেন আমাদের পরিশ্রম কর্ম ও দক্ষতার পতিফলন এই’’’ তা হলো সাতক্ষীরা (টিটিসি) এর ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল,ছাত্র ছাত্রীদের তৈরী দুইটি প্রোজেক্ট৷(ইলেকট্রিক্যালের) ছাত্র ছাত্রীরা তৈরী করেন, বৈদ্যুতিক মটোর,ফ্যান রিওয়ারিং এবং অটোমেটিক বৈদ্যুতিক মটর অন অফ হয়ে যাওয়া,, এটা মুলত মটর দিয়ে বাসা বাড়ীর পানির ট্যাংকি তে পানি তোলার সময় যখন ভর্তি হয়ে যায় তখন যাতে অটোমেটিক সুইচ অফ হয়ে যায় এই এজন্যই ডিভাইস ব্যাবহার করা যাবে (ইলেকট্রনিকের) ছাত্র ছাত্রী তৈরী করেন,, ভেহিকেল ইন্ডিকেটর সিস্টেম,, এটা মুলত যানবাহন বা রাস্তায় চলাচল রত গাড়ী দূরঘটনা রোধক হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে মেলায় আগত,সরকারি কলেজের ইয়াসিন তাহমীদ সহ অনেক দর্শকরা বলেন সাতক্ষীরা (টিটিসি) এর উন্যায়ন মুলক কমর্কান্ড দেখে অামারা অনেক আগ্রহী (টিটিসির)ট্রেইনিং নেয়ার জন্য, এবং তারা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এই জন্য যে৷ তিনি দক্ষ কারিগর গড়ার জন্য সাতক্ষীরা (টিটিসি) এর মতো একটি প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরায় স্থাপন করিছেন
এর আগে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী ৪র্থ উন্নয়ন মেলার।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান, জেল সুপার মো. আবু জাহেদ, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট কেএম মনিরুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিলি ডিফেন্সের উপসহকারি পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টা জনগণের কাছে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তিনি দেশের উন্নয়নে নিরলস কষ্ট করছেন। আপনারা যে উন্নয়নের ছোয়া পাচ্ছেন এতেই প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন আপনারা উন্নয়ন পাচ্ছেন কিনা জানার জন্য। আপনারা, আমরা এক সাথে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দেশ বিশ্বের অন্যতম রাষ্ট্রে পরিণত হবে। স্কুল কলেজে মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস, ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ- এসব উন্নয়নের দৃশ্যমান অংশ। আর আমাদের বড় প্রাপ্তি বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট। যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমি এক সময় সাতক্ষীরায় কাজ করেছি, কিন্তু এখন এসে সাতক্ষীরাকে চেনা যায় না। দ্রুত সাতক্ষীরার উন্নয়ন হয়েছে। সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ১০টি উন্নয়ন কাজ আমি নিজে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে দেখবো। সবাই মিলে এক সাথে কাজ করবো। উন্নয়নের যে ট্রেন চলছে তা থেকে আমরা নামবো না।
তিন দিনব্যাপী এ মেলায় ৭৮টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০০টি স্টল বসেছে। এ সব স্টলে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে তুলে ধরার পাশাপাশি জনগণকে সরকারের উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্তকরণ এবং প্রত্যেকটি দপ্তরের উন্নয়নের দৃশ্য তুলে ধরা হচ্ছে।