ক্রাইমবার্তা রিপোট : যশোর: জমকালো আয়োজনে সারাদেশের সাথে একযোগে যশোরে শুরু হলো ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা। যশোর টাউন হল মাঠে দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা আর ৯৮টি স্টলে জনসমাগমে মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ।
সকাল সাড়ে নয়টায় কালেক্টরেট চত্বর থেকে যশোরের উন্নয়ন মেলার শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএএম রফিকুন্নবী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নূর-ই-আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন যশোর মুজিব বাহিনী প্রধান আলী হোসেন মনি,
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকতাগণ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি কালেক্টরেট চত্বর থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ঘুরে একই এসে শেষ হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বো
ধনকালে তিনি বলেন, আজকের তরুণ আগামী দিনে হবে এদেশের কর্ণধার। কাজেই আমাদের সব আয়োজন হচ্ছে এই তারুণ্যের জন্যে। তরুণ প্রজন্মের জন্যে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম লেখাপড়া শিখে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেদের মেধা দিয়ে নিজেদের ভাগ্য যেমন গড়বে, তেমনি দেশের ভাগ্যও গড়বে। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের এই দেশব্যাপী উন্নয়ন মেলার আয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী এই উন্নয়ন মেলা তরুণ প্রজন্মের জন্যে উৎসর্গ করে বলেন, ‘তারা যেন নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে। সন্ত্রাস, মাদক বা জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত থেকে তারা নিজেদের সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং গত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনের পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকার উদ্বোধন করেন। এর বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা, বাগেরহাটের ফকিরহাট, নড়াইল জেলার লোহাগড়া এবং রংপুরের পীরগঞ্জের স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনের পর টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে যশোর জেলার উন্নয়ন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের জীবনমান উন্নত ও তাদের সুন্দর জীবন উপহার দেয়ায় তার সরকারের লক্ষ্য। একদম গ্রামীণ জনগণও যেন নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে পারে, সেজন্যে সরকার একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীরও সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, সেভাবেই সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর সেনানিবাসের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ সাব্বির মাহমুদ (এফসিপিএস), কর্ণেল (এডমিন) আবু জাহিদ সিদ্দিকী (পিএসসি), বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাটির উইং কমান্ডার রেফাতুল ইসলাম (পিএসসি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুনিম হাসান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব শাহ আলম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ যশোরের বিশিষ্ট জনেরা। আলোচনা সভার পর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে যশোর উন্নয়ন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। পরে মেলায় অংশগ্রহণকারী ৯৮ টি স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে মেলা মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবশেনায় অংশ নেন যশোরের বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। শুরুতেই কবিতা আবৃতি করেন নন্দন যশোরের রুপন্তি ও বিবর্তনের বন্ধু শাহরিন সুলতানা। এরপর সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন ভৈরব যশোরের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে বাউল গান শোনান যশোরের বাউলিয়ার শিল্পী পরিতোষ বাউল। একে একে সঙ্গীতের মূর্ছনায় শ্রোতা দর্শকদের বিমোহিত করেন তীর্যকের অমিতাভ দাস, কিংশুকের এম এ সবুর, উৎকর্ষের অতনু, উদীচীর গোবিন্দ বিশ্বাস, মাইকেলের মানিক বর্মণ, যশোর শিল্পী গোষ্ঠীর ইমামুল হক রহিম, সপ্তসুরের রফিকুল ইসলাম, আশাবরীর ডক্টর সবুজ শামীম আহসান, স্বরগমের নিখিল অধিকারী, সুরধনীর তাওহিদুল ইসলাম, অগ্নিবীণার নাসিমা বেগম ও চাঁদের হাটের রাবেয়া সুলতানা রেবা। ।
এ মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। প্রতিটি স্টল থেকে শুধু সেবা প্রদর্শনী নয় সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে সাধারণ মানুষের এই মেলার প্রতি আগ্রহ অনেক বেশী। প্রথম দিনেই জনসাধারণের ব্যাপক উপস্থিতি মেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আজ ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যাও আরো বাড়বে বলে আশা করছেন আয়োজকগণ।
প্রধানমন্ত্রী এই উন্নয়ন মেলা তরুণ প্রজন্মের জন্যে উৎসর্গ করে বলেন, ‘তারা যেন নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে। সন্ত্রাস, মাদক বা জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত থেকে তারা নিজেদের সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং গত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনের পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকার উদ্বোধন করেন। এর বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা, বাগেরহাটের ফকিরহাট, নড়াইল জেলার লোহাগড়া এবং রংপুরের পীরগঞ্জের স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনের পর টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে যশোর জেলার উন্নয়ন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের জীবনমান উন্নত ও তাদের সুন্দর জীবন উপহার দেয়ায় তার সরকারের লক্ষ্য। একদম গ্রামীণ জনগণও যেন নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে পারে, সেজন্যে সরকার একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীরও সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, সেভাবেই সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর সেনানিবাসের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ সাব্বির মাহমুদ (এফসিপিএস), কর্ণেল (এডমিন) আবু জাহিদ সিদ্দিকী (পিএসসি), বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাটির উইং কমান্ডার রেফাতুল ইসলাম (পিএসসি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুনিম হাসান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব শাহ আলম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ যশোরের বিশিষ্ট জনেরা। আলোচনা সভার পর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে যশোর উন্নয়ন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। পরে মেলায় অংশগ্রহণকারী ৯৮ টি স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে মেলা মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবশেনায় অংশ নেন যশোরের বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। শুরুতেই কবিতা আবৃতি করেন নন্দন যশোরের রুপন্তি ও বিবর্তনের বন্ধু শাহরিন সুলতানা। এরপর সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন ভৈরব যশোরের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে বাউল গান শোনান যশোরের বাউলিয়ার শিল্পী পরিতোষ বাউল। একে একে সঙ্গীতের মূর্ছনায় শ্রোতা দর্শকদের বিমোহিত করেন তীর্যকের অমিতাভ দাস, কিংশুকের এম এ সবুর, উৎকর্ষের অতনু, উদীচীর গোবিন্দ বিশ্বাস, মাইকেলের মানিক বর্মণ, যশোর শিল্পী গোষ্ঠীর ইমামুল হক রহিম, সপ্তসুরের রফিকুল ইসলাম, আশাবরীর ডক্টর সবুজ শামীম আহসান, স্বরগমের নিখিল অধিকারী, সুরধনীর তাওহিদুল ইসলাম, অগ্নিবীণার নাসিমা বেগম ও চাঁদের হাটের রাবেয়া সুলতানা রেবা। ।
এ মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। প্রতিটি স্টল থেকে শুধু সেবা প্রদর্শনী নয় সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে সাধারণ মানুষের এই মেলার প্রতি আগ্রহ অনেক বেশী। প্রথম দিনেই জনসাধারণের ব্যাপক উপস্থিতি মেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আজ ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যাও আরো বাড়বে বলে আশা করছেন আয়োজকগণ।