ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার এ পরিপত্র জারি করে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, প্রার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগ দেয়া হবে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি ছিল তা বাতিল করা হয়েছে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সচিব কমিটির সুপারিশ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন করা হয়।
সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না। এসব পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।
এতদিন সরকারি চাকরিতে ৪৪ শতাংশ পদ মেধায় এবং ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ রাখা হয়েছিল।
কোটায় মেধাবীদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে অভিযোগ করে কোটা সংস্কার দাবিতে গত এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ এপ্রিল সংসদে বলেন, কোটা পদ্ধতিই থাকবে না, এটা ‘বাতিল’। একই সাথে ওই দিনই কোটা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি করার কথাও বলেছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে ২ জুলাই কোটা বিষয়ে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সরকার। ওই কমিটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সুপারিশ করে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সূত্র: ইউএনবি।