পার্স টুডে : চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলের উইঘুর মুসলিমদের গণহারে গ্রেফতার ও নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। ইউরোপীয় সংসদ সদস্যরা উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান বন্ধ করার জন্যও বেইজিং সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
চীন দাবি করে আসছে ইসলামিক সশস্ত্র যোদ্ধা ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুমকির মুখে আছে জিনজিয়াং প্রদেশ। এসব যোদ্ধা ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও দাবি করে তারা। এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থানীয় চীনা আদিবাসী হানদের সঙ্গে উইঘুরদের সংঘর্ষের আশঙ্কাও প্রকাশ করে চীন। সাম্প্রতিক অস্থিরতায় সেখানে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। তবে সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার গ্রুপ দাবি করে, চীনে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে কাউন্টার-এক্সট্রিমিজম সেন্টারগুলোতে আটকে রাখার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে তারা। জেনেভায় চীনের ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির দুই দিনের বিশেষ সভায় এই অভিযোগ তোলে সংস্থাটির জাতিগত বৈষম্য বিষয়ক কমিটি। কমিটির সদস্য গে ম্যাকডুগাল বলেন, এত বিপুলসংখ্যক উইঘুর আটকের ঘটনা উদ্বেগজনক।
স্ট্রাসবার্গে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অধিবেশন থেকে অবিলম্বে উইঘুর মুসলমানদের গণহারে গ্রেফতার বন্ধ করার জন্য চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেইসঙ্গে সব বন্দিশিবির বন্ধ করে দিয়ে আটক ব্যক্তিদের যতদ্রুত সম্ভব নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা চীনের এসব বন্দিশিবিরের দুর্বিষহ জীবন, নির্যাতন এবং বন্দিদের মৃত্যুর ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা চীন সরকারকে ইউরোপের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেয়ার জন্য ইইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনির প্রতি আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গতমাসে এক প্রতিবেদনে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের ওপর দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, চীনের ইতিহাসে এমন দমনপীড়নের নজির নেই। তবে চীন সরকার শিনজিয়াং প্রদেশে সব রকম দমন অভিযানের কথা অস্বীকার করে আসছে।