ক্রাইমবার্তা রিপোট:সাতক্ষীরা: : আশাশুনির হামকুড়া কচুয়া গ্রামের আদিত্য মন্ডলের মাসি ভুন্দি বেওয়ার ৩৬ শতক জমি বর্গাচাষ করতেন একই গ্রামের ভুধর মন্ডলের ছেলে ভবনাথ মন্ডল। কিন্তু তার মাসি মারা যাবার পর খেকে বর্গাদার ভবনাথ প্রচার দেয় য়ে ভুন্দি বেওয়া তার কাছে ওই জমি বিক্রি করে গেছেন। এর পর থেকে ওই জমি ভবনাধ ছাড়ছে না বলে জানিয়েছেন আদিত্য মন্ডল।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন মৌজা কচুয়ার এসএ ৪৪৯ খতিয়ানে সাবেক দাগ নম্বর ১৯১৯,হাল দাগ ৪৩৯২ এর ৩৬ শতক জমি রেখে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান তার মাসি ভুন্দি বেওয়া। মিথ্যা প্রচার ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভবনাথ মন্ডল ওই জমি জবর দখলে রাখায় আদিত্য ১৫ বছর ধরে বঞ্চিত হন। এই সুযোগে ভবনাথ কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যানকে ভুল তথ্য দিয়ে ২০১৫ সালে একটি ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট ইস্যু করে নেয়। তিনি বলেন আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই চেয়ারম্যান একই বছর ভবনাথের ওয়ারেশ বাতিল করে আদিত্যর নামে ওয়ারেশ কায়েম সাটির্ফিকেট দেন। এ সময় ভবনাথ আদিত্যর নামে কয়েকটি মামলা করে। আদিত্য জানান ৩৬ শতক জমির নাম পত্তন করে তার মধ্যে ২৯ শতক জমি তিনি কুল্লা গ্রামের সামাদ গাজির স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার কাছে বিক্রি করে দেন। এর পর থেকে ভবনাথ পুলিশ দিয়ে আদিত্য ও তার পরিবারকে হয়রানি করছে। ভবনাথের পক্ষ নিয়ে আঙ্গুর মেম্বর আদিত্য এমনকি সামাদ গাজিকেও হয়রানি করছে ও মামলা করেছে। এরই মধ্যে আঙ্গুর মেম্বর গত ১৫ সেপ্টেম্বর থানায় এ বিষয়ে বসাবসির কথা বলে আশাশুনি বাজারের চাঁদনির নিচে বসে ৩টি ১০০ চাকার স্ট্যাম্পে জোর করে আদিত্যর স্বাক্ষর করিয়ে নেয় ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন আঙ্গুর মেম্বর ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ভবনাথকে দুটি ভুয়া সনদপত্র দিয়েছে। এই জমি নিয়ে আশাশুনি সহকারি জজ, সাতক্ষীরা দেওয়ানি আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কাছে মামলা রয়েছে। তারপরও থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে আঙ্গুর মেম্বর ও ভবনাথ এই দুস্কর্মটি কিভাবে করতে পারলো সে বিষয়ে তিনি পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে তার জমি যাতে বেহাত না হয় সে ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপারের সহায়তা কামনা করেন।
Check Also
সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …