বিবিসি বাংলা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনার জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার যে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সে বিষয়ে বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
আর ইংল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ জানিয়েছেন, তারেক রহমান সফলভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে ফেরত গেলে তার ওপর জুলুম হবে। ব্রিটিশ সরকারকে তিনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন বলেই তাকে আশ্রয় এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, আমাদের সরকারের উচিত এখনই তারেক রহমানের নামে আবার নতুন করে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা, এবার খুন ও সন্ত্রাসবাদের জন্য। তাকে ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করাও উচিত আমাদের।
অন্যদিকে মামলায় রায়ের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, এই মামলার যেসব আসামি বিদেশে রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।
আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মনে করেন, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে বন্দিসমর্পণ চুক্তি না থাকলেও জাতিসংঘের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যসিসট্যান্স (এমল্যাট) সনদের আওতায় তারেক রহমানকে বিচারের জন্য হস্তান্তর করা যেতে পারে। দুটি দেশের মধ্যে আইনগত এবং বিচারিক সহযোগিতার ভিত্তি এই সনদ।
এসব বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথাকে রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর। আওয়ামী লীগ যত দিন সম্ভব একে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়।
তিনি বলেন, তারা গত ১০ বছর ধরেই তো বলছে তাকে ফেরত আনবে। কিন্তু পেরেছে কী? আর না পারলে, তারা কি বলতে পারছে, কেন তারা পারছে না?
মওদুদ আহমদ বলেন, সাত বছর, ১০ বছর কিংবা যাবজ্জীবন সাজা – যাই হোক না কেন তারেক রহমান যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, এটা তো সবারই জানা।
আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ, এক্সট্রাডিশন ট্রিটি বা এমল্যাট -যাই হোক না কেন ২০০৩ সালের এক্সট্রাডিশন আইন এবং ২০০২ সালের কমনওয়েলথ দেশগুলোর এক্সট্রাডিশন সংক্রান্ত আইনগুলোর আওতার মধ্যে থেকে ব্রিটিশ সরকারকে তারেক রহমানকে ফেরত নেয়ার আবেদন বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশ সরকার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত চেয়ে কোনো আবেদন পাঠায় তাহলে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এসব আইনের আলোকে করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আইনের বর্তমান কাঠামোর অধীনে বাংলাদেশ কোনোভাবেই তাকে ফেরত পাবে না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা