ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট :ঘূর্ণিঝড় তিতলি মোকাবেলার জন্য উপকূলীয় ১৯ জেলার সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের উডিষ্যা রাজ্যের গোপালপুরে আঘাত হানলেও তা পুরো শক্তি নিয়ে বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা নেই। বরং নিম্নচাপ আকারে আসবে। ফলে উপকূলীয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে হতে পারে।
তবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর সতর্কতা দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ নিঝুম আহমেদ বলেন, তিতলি বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। তবে নিম্নচাপ আকারে আসবে। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় তিতলি মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এদিকে সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্র রাতভর মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি হয়নি।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান জানান,তিতলি মোকাবেলায় গতকাল বুধবার উপজেলা প্রশাসনের আহবানে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩৭টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রাখা হয়েছে। তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও মেডিকেল টিম দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছেন।
সবশেষ খবরে জানা গেছে গাবুরা ও পদ্মপুকুরসহ উপকূলীয় ইউনিয়ন গুলোতে স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে।
##