নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের পোস্ট অফিস মোড় থেকে ফুড অফিস পর্যন্ত দেড়শ’ গজ রাস্তার মধ্যে তিনটি গতিরোধক নির্মাণের পর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকের বাসভবনের ফটকের সামনে রাস্তার ফুটপাত জুড়ে চলছে বালি ও নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা। ফলে ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। শহরের কাছারিপাড়ার হাবিবুর রহমান, পোস্ট অফিস মোড়ের খোকা গাজীসহ কয়েকজন জানান, বিগত ছয় মাসের মধ্যেই পোস্ট অফিস মোড় থেকে ফুড অফিস পর্যন্ত সড়কের কোর্ট মসজিদে ঢোকার পথে, রেজিস্ট্রি অফিসের বাকে, জেলা ও দায়রা জজ সাহেবের বাসভবনের ফটকের সামনে নির্মিত হয়েছে তিনটি গতি নিরোধক। এ সব গতিরোধক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি নেওয়া হয়েছে কীনা তা তাদের জানা নেই। জজ সাহেবের বাসভবনের ফটকের প্রায় সামনেই ফুটপাত জুড়ে রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নাম কা ওয়াস্তে সভাপতি জোহর গাজী বালি বিক্রি করছেন। মোড়েই ছোট্টু ব্যানার্জীর স্মৃতিস্তম্ভের পাশে জোহর গাজীর ভাইয়ের চটপটি ও চপের স্টল। একইভাবে ফুড অফিস মোড় থেকে রেজিস্ট্রি অফিস দিকে যেতে রাস্তার দু’ধার জুৃড়ে ড্রেন বন্ধ করে জোহর গাজী বিক্রি করছেন ইট ও স্টোনচিপ। সঙ্গে রয়েছে মুরগি গুদাম ও বিক্রির সেন্টার। নামে রিক্সা ভ্যান চালক শ্রমিক নেতা হলেও মুরগি বিক্রির জন্য প্রতিদিন মাইকিং করে শহরবাসীকে অতিষ্ট করে তুলেছেন। বিগত থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেশ কয়েকজন মুরগি ব্যবসায়ির মাইকিং বন্ধ করলেও পারেননি জোহর আলীকে বশে আনতে। তবে পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় রাস্তার দু’ধারে আরো কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠায় সেবগুলোও যানমাল রক্ষায় নিরাপদ নয় বলে জানা তারা। স্থানীয়রা জানান, ফুটপাত ব্যবহার না করতে পেরে রাস্তার উপর দিয়ে চলতে যেয়ে পথচারিরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ছেন। তাছাড়া রাস্তার উপর ট্রাক রেখে মালামাল খালাস করার সময় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। জানতে চাইলে রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জোহর গাজী সাংবাদিকদের জানান, সারা শহরের ফুটপাত বেদখল হয়ে গেছে। সাংবাদিকরা সেটা দেখতে পায় না। যত কোপ তার উপর কেন। জনস্বার্থে তিনি কোন ক্ষতি করতে চান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রিক্সা না চালালে কি ওই শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হওয়া যাবে না?
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …