(FILES) A file photo taken on February 21, 2018, shows exhaust gases pourring out of from the exhaust pipe of a BMW diesel engine car at a garage in Wickede, eastern Germany. - The European countries were trying on October 9, 2018 in Luxembourg to overcome their divisions on the magnitude of the reduction in CO2 emissions to impose on car manufacturers. (Photo by Ina Fassbender / dpa / AFP) / Germany OUT

সেই আইন এখন অকেজো, তাই দূষণ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ ২০ বছরের পুরানো আইন দিয়েই বর্তমান পরিবেশ নীতি পরিচালনা করছে সরকার। এই আইন সেই সময়ের জন্যই প্রযজ্যো ছিল বর্তমানে এ আইন অকেজো। তাই সরকারকে অতিদ্রুত পরিবেশ আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী আইন করতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র উদ্যোগে তোপখানা রোডস্থ শিশুকল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স কক্ষে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবাদিরা এঅভিযোগ করেন। “পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২,৩৪,০০০ মানুষ মারা যায়’! দূষণ বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ কর” দাবীতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাপা’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও শব্দ, বায়ু এবং দৃষ্টিদূষণ কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক, মিহির বিশ্বাস, শরীফ জামিল, অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, চেয়ারম্যান পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেণু, এবং আয়োজক সংগঠণের অন্যান্য প্রতিনিধিগন, সংশ্লিষ্ট গবেষক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগন উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন।

অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, সরকারের যারা নীতি নিদ্ধারক আছেন তারা কোন রকম দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়াই যে কোন কাজ হুট-হাট করে বসেন। সরকার ২০ বছরের পুরানো আইন দিয়েই বর্তমান পরিবেশ নীতি পরিচালনা করছে। এ আইন সেই সময়ের জন্যই প্রযজ্যো ছিল বর্তমানে এ আইন অকেজো। তাই সরকারকে অতিদ্রুত পরিবেশ আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী আইন করতে হবে।

ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, পরিবেশের যে কোন সংকট সমাধানে সরকারের আগ্রহ সব সময়ই কম। আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের দৈন্যতা খুবই দুঃখজনক। তিনি আইন বাস্তবায়নে সরকারকে নীতিনিষ্ঠ ও আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান।

মূল বক্তৃতায় এম সিরাজুল ইসলাম মোল্লা সাম্প্রতিককালের বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষার কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। প্রায় এক দশক আগে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছিলো যে বাংলাদেশে তখন বছরে ১৫,০০০ মানুষ বায়ূদূষণ জনিত কারণে মারা যেত। সেই বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেল যে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণজনিত কারণে ২,৩৪,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

মিহির বিশ্বাস পরিবেশ আইনগুলোকে সরকারী নীতিনির্দ্ধারকরা ফ্রিজিং করে রেখেছে।

আহম্মেদ কামরুজ্জামান বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যংকের সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে এখনই দূষণের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আইনের যথাযথ সংশোধন ও তা বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান।

শরীফ জামিল বলেন, যে কোন উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে ইটের বিকল্প জ্বালানী হিসাবে কংক্রিটের ব্লকের ব্যবহার বাড়ানোর দাবি জানান হয়। এর পাশাপাশি যতদিন পর্যন্ত ইটের বিকল্প জ্বালানী হিসাবে কংক্রিটের ব্লকের ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ানো না যায় ততদিন সেকেলে পদ্ধতির সমস্ত ইটভাটা বন্ধ করে হাইব্রিড হফম্যান বা জিগজ্যাগ পদ্ধতির ইটভাটা চালুর দাবি জানান তারা। তারা বলেন, এজন্য প্রয়োজনে স্বল্পসুদে ইটভাটার মালিকদের ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।