শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ‘গায়েবি মামলা’ করার পর পুলিশ এবার গণগ্রেফতার শুরু করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখেই গায়েবি মামলা ও গণগ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে।
গণগ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির এ নেতা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশব্যাপী গায়েবি মামলার পর এখন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে গণগ্রেফতার শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
‘মামলা দায়েরের তামাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নয় বছর, দুই বছর ও এক বছর আগে মৃত ব্যক্তিদের নামেও মামলা দেয়ার কথা আপনাদেরকে অবহিত করেছি। এই মামলা থেকে রেহাই পাননি দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের বেডে পড়ে থাকা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীও।’
রিজভী বলেন, তামাশার আরও নজির দেখতে পাই, টঙ্গীতে ছাত্রলীগ সভাপতির নাম মামলায় চলে আসায় এজাহার পাল্টিয়ে তাকে বাদ দিয়ে নতুন এজাহার দেয়া হয়েছে। আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম যে, দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ধরার জন্য সাঁড়াশি অভিযান চালাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে ওসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ২১ আগস্ট বোমা হামলার রায় আওয়ামী লীগ নির্দেশিত রায় সেটিও খুব সহজেই জনগণ উপলব্ধি করছে। এই রায়ের পক্ষে জনগণের কোনো সাড়া না পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা উদ্ভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।