এম, এ, (আলীম যশোর থেকে):
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের সেমিস্টার পরীক্ষা বর্জন করেছে। আজ ১৩ আগস্ট শনিবার যবিপ্রবি কাম্পাসে এমন ঘটনা ঘটেছেে।
শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একযোগে সকল বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পি ই এস এস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভ(আইডি নং-১৭১২১৬) পরিক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশ পত্র নিতে গেলে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জাফিরুল ইসলাম দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রন করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান। তারপর থেকে পি ই এস এস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যাচের পরীক্ষা বর্জন করে এবং আন্দোলন শুরু করে।
এ সম্পর্কে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভ জানান, আমি গত ২৭ জুলাই থেকে দীর্ঘ দিন ধরে প্যানক্রিয়াসাইটিস রোগে অসুস্থ থাকার কারনে ক্লাসে ঠিকমত উপস্থিত থাকতে পারি নি এবং উচ্চমানের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ঢাকাতে যায় এবং সেখানে উন্নতমানের পরীক্ষা নিরিক্ষা সহ চিকিৎসা করায়। চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে কাম্পাসে ফিরে এসে আমি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করি আমার অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনার সাথে নেওয়ার জন্য এবং মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও দেই,তবুও শিক্ষকরা আমাকে কেন পরিক্ষায় বসতে দিচ্ছেন না এটা আমি বুজছি না।
এ সম্পর্কে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জাফিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ীয়ে যদি কারও শতকরা ৫০ ভাগ উপস্থিতি না থাকে তাহলে তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না, আর অন্তর দে শুভ নামের শিক্ষার্থীর উপস্থিতির কোটা প্রায় শূন্য,তাই তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেয় নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে কি না এমন এখতিয়ার আমাদের হাতে নেই,আমরা শুধু রিপোর্ট দেই,বাকীটা সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …