এম, এ,আলীম (যশোর থেকে): জলাবদ্ধতা অনেক শহরেরি পুরোনো সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময় নেয়া হয়েছে নানা প্রকল্প। কিন্তু তার পরো হয়ে থাকে এ জলবদ্ধতা। ঠিক তেমনি যশোর শহরে উল্লেখযোগ্য এম এম কলেজের প্রবেশ এর দুইটা সড়কের দক্ষিণ মানে প্রধান সড়কটি প্রায় বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। গত ১১ তারিখ হতে মাঝেমাঝে থেমে থেমে হালকা ভারী বৃষ্টির কারনে এম এম কলেজের উল্লেখযোগ্য এ প্রধান সড়কটি পানিতে তলিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, বলেছেন শিক্ষার্থীরা।উক্ত কলেজের দর্শন বিভাগের ভর্তী হতে আসা নতুন ছাত্র আশিকুর রহমান ক্রাইম বার্তাকে জানান যে “প্রথম দিনি কলেজে এসে এমন দুর্ভোগে পড়তে হবে সেটা জানা ছিলো না” এছাড়া নগরবাসীর অনেকেই বলছেন শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবমুখী কোন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে না, আর এ জন্য এখানকার জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করছে। নগর পরিল্পনাবিদরা বলছেন, দিন দিন এ রোডে খোলা জায়গাগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে, আর দখল হয়ে যাওয়া জায়গুলিতে পাকা দালান গড়ে ওঠায় পানি চুয়ে নিচে যেতে না পারায়, রান অব ওয়াটার বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে জলাবদ্ধতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তবে এখানকার জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৃষ্টির পানি প্রথমত ভূগর্ভে শোষণ করে নেয়, বাকি পানি রান অব ওয়াটার হয়ে খাল বিল ও ড্রেন দিয়ে নদীতে চলে যায়। কিন্তু এখানে এই দুই পথের সবই প্রায় অকার্যকর। তাছাড়া নগরীতে যে ড্রেনগুলো আছে তাও প্রায় আবর্জনায় পূর্ণ, পানি যাওয়ার রাস্তায় বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে, এ কারণে নগরীর জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করছে। এ ক্ষেত্রে নগরবাসীর দায়ও কম নয় বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। নিষিদ্ধ পলিথিন যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার বাজে অভ্যাস যতদিন নগরবাসী বাদ না দেবে, ততদিন জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয় বলেই তারা মনে করেন। ঢাকার পরিকল্পনা বলতে জানা যায় ১৯৫৯-৬০ সালের একটি পরিকল্পনার কথা। ওই ‘মাস্টার প্ল্যানে’ ঢাকার চারপাশের নিম্নাঞ্চল ও নদী, শহরের খাল, বিল, ঝিল— এসব রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা ছিল। অর্থাৎ একধরনের জলের সঙ্গে বসবাসের পরিকল্পনা। কিন্তু আশির দশকে এসব বিবেচনায় না নিয়ে এক ধরনের লাগামছাড়া নগরায়ন শুরু হয়। তাতে সমস্যা আরও বেড়ে যায় বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। নগরীর জলাবদ্ধতার দায় যে যার মতো করে একে অপরের ওপর চাপাচ্ছে, কিন্তু এর থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর। বরং এই সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। আর ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর সীমাহীন ভোগান্তির দায় নিতে নারাজ সব প্রতিষ্ঠানগুলো। শহরের এ সমস্য সমাধান করতে পোর মেয়র জহিরুল ইসলাম রেন্টু চাকলাদার সব সময় গণসচেতনতা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। গণসচেতনা সৃষ্টি করতে তিনি মিডিয়াতেও বার বার গণসচেতন মুলক বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন একার পক্ষে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব না, তাই সবাই কে সচেতন হতে হবে।ময়লা গুলি নিদৃষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। তবে এম এম কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন খুব দ্রুতই উপর মহলের নজর এ দিকে পড়লেই তাদের এ কষ্ট লাঘব হবে বলে জানান তারা
Check Also
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …