আবারো সভা বর্জন করলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ   মতের মিল না হওয়ায় আবারো নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

আজ সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সভা চলাকালে সকাল ১১টা ৭ মিনিটে মাহবুব তালুকদার সভা বর্জন করেছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান আরজু।

আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এই কমিশন সভা শুরু হয়। সভা শুরুর সাত মিনিট পর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রদান করে বের হয়ে আসেন মাহবুব তালুকদার।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিতকরণ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ভোটার তালিকায় আলাদা লিঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বিদ্যমান ভোটার তালিকা বিধিমালায় সংশ্লিষ্ট বিধি ও ফরমে সংশোধনের বিষয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কমিশন সভায় উপস্থিত আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য তিন কমিশনার। এ ছাড়া ইসি সচিবালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ আরো অনেকে।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে কমিশনের এ সংক্রান্ত বৈঠক ত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। একইসঙ্গে তিনি আরপিও সংশোধনের এই সিদ্ধান্তে নোট অব ডিসেন্ট দেন।

গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেয়ার পর এ পর্যন্ত অন্তত চারটি বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিলেন কমিশনার মাহবুব।

বর্তমান ইসির অধীনে ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন সন্নিকট হওয়ায় আইন সংস্কারের কাজ বাদ দিয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এগোচ্ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে ইভিএম নিয়ে নতুন প্রকল্প নেয়া এবং নির্বাচনী আইন সংস্কার নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে ইসি। এ অবস্থায় রাজনৈতিক বিরোধিতা এবং দক্ষ জনবলের বিষয়টি তুলে ধরে ইভিএম নিয়ে আরপিও সংশোধনে ভিন্নমত পোষণ করেন মাহবুব তালুকদার। সর্বশেষ সিটি নির্বাচনের আচরণবিধি সংশোধন নিয়ে অন্যদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিলেন মাহবুব তালুকদার।

এর আগে ইসি কর্মকর্তাদের বদলি নিয়েও আনঅফিসিয়াল (ইউ) নোট দেন তিনি। সেনা মোতায়েন ও গাজীপুরের ভোটে অনিয়ম নিয়েও নিজের মতামত দিয়ে আলোচনায় ছিলেন এ নির্বাচন কমিশনার। বড় নির্বাচনে অনিয়ম রোধে সিইসির এক বক্তব্য নিয়েও সর্বশেষ আলোচিত হন মাহবুব তালুকদার।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ আগস্ট এ সম্পর্কিত সভার সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে না পেরে ২০ মিনিট সভা চলার পর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা বর্জন করেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এর আগে পাঁচ কমিশনারের তিনজনই ইভিএম ক্রয়ের এ প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেন। ইভিএম ব্যবহারের এ ঘটনায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, মাহবুব তালুকদারের ভিন্ন মত থাকতে পারে এটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি।

এ সময় তিন নির্বাচন কমিশনার মো: রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

গত বছর অংশীজনদের (স্টকহোল্ডার) সাথে ইসির সংলাপে আলোচিত বিষয় ছিল ইভিএম। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নেয়। ২৩টি দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে নিজেদের মতামত জানায়। এর মধ্যে বিএনপিসহ ১২টি দল ইভিএম ব্যবহারের বিপে মত দেয়। মতাসীন আওয়ামী লীগসহ সাতটি দল ইভিএমের পে বলে। তিনটি দল পরীক্ষামূলক ও আংশিকভাবে এবং একটি দল শর্ত সাপেক্ষে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছিল।

ইসি এত দিন বলে এসেছে, সব দল না চাইলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু এর মধ্যে দেড় লাখ ইভিএম কেনার জন্য ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় ইসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসিকে ইভিএম সরবরাহ করবে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। ‘নির্বাচনব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক পাঁচ বছরমেয়াদি একটি প্রকল্পের অধীনে দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ করতে চায় ইসি। অবশ্য ১৯ আগস্ট এই প্রকল্প নিয়ে মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি যুক্ত করার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের সভা বর্জনকারী নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্টে ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিরোধিতার কারণ হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে ইভিএমের উল্লেখ না থাকা, ইভিএম প্রকল্পের তথ্য না জানা, রাজনৈতিক দলের অনীহা ও ইভিএম সম্পর্কিত যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। পরে মাহবুব তালুকদারকে ছাড়াই কমিশন সভায় ইভিএম রেখেই আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়।

সিইসির ঘোষণার পর গণমাধ্যমে মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি এটার (ইভিএম ব্যবহারের) বিপে অবস্থান নিয়েছি। আমি মোটেই চাই না আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য আরপিও সংশোধন হোক। এখন ওনারা বসে বসে আরপিও সংশোধন করতে থাকবেন আর আমি সেখানে নোট অব ডিসেন্ট দেয়ার পর মূর্তির মতো বসে থাকব, এটা আমার কাছে যথাযথ মনে হয়নি।

মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, ওনারা ওনাদের কাজ করুক, আমি আমার কাজ করি। আমার মনে হয়েছে ওখানে বসে থাকাটা সমীচীন না। মাহবুব তালুকদার জানান, এর আগে কোনো কমিশন সভায় ইভিএম প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। অতীতের কমিশন সভার কার্যবিবরণী খুঁজে এমন কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হলে কী ভূমিকা পালন করবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি একজন গণতন্ত্রমনা মানুষ। সংসদ নির্বাচন এখনো বেশ দূরে। তখনকার অবস্থা কী হবে এই মুহূর্তে বলতে পারি না। অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সংলাপে বলেছে ইভিএম চায় না। কেউ যদি বলে চায় তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, আমি যে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছি এটা কারো বিরুদ্ধে নয়। এটা একটা মতের বিরুদ্ধে আমার ভিন্নমত। আমি দ্বিমত পোষণ করতে পারি, ভিন্নমত পোষণ করতে পারি। তাই বলে আমার সহকর্মীদের সাথে আমার কোনো মতবিরোধ নেই।

মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্টে লেখেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ সমর্থন করি না। এমতাবস্থায় ওই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রদান করছি। ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কমিশন সভার প্রসঙ্গ টেনে ‘নোট অব ডিসেন্টে’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি তিন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) সংশোধনে ইসি তিন ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করে। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে বাংলা ভাষায় রূপান্তর, যা একজন পরামর্শক তৈরি করে দিয়েছেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইংরেজি আরপিওতে সুনির্দিষ্ট কিছু সংশোধন, সংযোজন বা পরিমার্জন। সর্বশেষ প্রস্তাবটি হলো- একাদশ সংসদ নির্বাচনে সময় স্বল্পতার কারণে ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধন। নির্বাচন কমিশনের ২৬ আগস্টের সভায় অন্য দু’টি প্রস্তাব বাদ দিয়ে কেবল ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকে। ইভিএম ও আরপিও সম্পর্কে আরো বিচার-বিশ্লেষণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিমিত্ত কমিশনের সভা ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

মাহবুব তালুকদার বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে ইতোমধ্যে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। এতে রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সিইসি প্রথম থেকেই বলে আসছেন রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলেই কেবল জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি দলের পক্ষ থেকে ইভিএম ব্যবহারকে স্বাগত জানানো হলেও প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করে আসছে। নির্বাচন কমিশনের সাথে দলগতভাবে সংলাপকালে ইভিএম সম্পর্কে সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান ছিল পরস্পরবিরোধী। এ অবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার মাধ্যমে ইভিএম ব্যবহারের কোনো সম্ভাবনা নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে রাজনৈতিক দলের সাথে অধিকতর আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন ছিল।

স্থানীয়ভাবে পরীক্ষামূলক ইভিএম ব্যবহারের কথা শুরুতে বলা হয়েছিল উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, এ জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকার ইভিএম কেনায় আমি ভিন্নমত পোষণ করেছিলাম। সম্প্রতি ৩৮২১ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে এ বিপুল অর্থ ব্যয় করে ইভিএম কেনা কতটা যৌক্তিক, তা বিবেচনাযোগ্য। এতে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের আশঙ্কা রয়েছে। বিগত রকিব উদ্দিন কমিশন ইভিএম ব্যবহার বাতিল করে অনেক ইভিএম ধ্বংস করে দেয়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কখনো কাম্য নয়।

পরিকল্পনা কমিশন অদ্যাবধি প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করেনি বলে তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, যে ইভিএম বিএমটিএফ থেকে সরকারি সংস্থার সুবাদে বিনা টেন্ডারে কেনা হচ্ছে, এর অরিজিন কী, কে উদ্ভাবন করেছে কিংবা কোত্থেকে আমদানি করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কারিগরি দিক থেকে এটি সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত কি না তা পরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করার পর অদ্যাবধি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি বলে জানা যায়।

মাহবুব তালুকদার নোটে বলেন, আরপিও তে শুধু ইভিএম ব্যবহারের যে সংশোধনীটি আনা হয়েছে তা ইতোমধ্যে কমিশন সভায় নানা প্রশ্নের সম্মুখীন। আমি ধারণা করি সর্বসম্মত রাজনৈতিক মতের বিরুদ্ধে ইভিএম ব্যবহৃত হলে তা নিয়ে আদালতে অসংখ্য মামলা হবে। অন্য কারণ ছাড়া কেবল ইভিএম ব্যবহারের কারণেই সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান ইসির পক্ষে এ ঝুঁকি নেয়া সঙ্গত হবে না।

যন্ত্রের অগ্রগতির যুগে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধী নন বলে উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঘাটতি তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রথমত, ইভিএম ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশন যাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তাদের প্রশিক্ষণ অপর্যাপ্ত এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পর্কে আমি সন্দিহান। দ্বিতীয়ত, অনেক ভোটার ইভিএম ব্যবহার সম্পর্কে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তারা ইভিএমের বিষয়ে যে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তা নিরসনের জন্য ব্যাপক প্রচার ও ভোটারদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল। সিটি নির্বাচনে কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এবং ইভিএম কেন্দ্র দখলের অভিযোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ধীরে ধীরে ইভিএম ব্যবহার বাড়ানো হলে ভোটাররা তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন। এই অভ্যস্ততার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন তা একাদশ জাতীয় সংসদের সময়ের মধ্যে সম্ভব নয়। তবে স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবস্থা সাফল্য লাভ করলে পাঁচ-সাত বছর পরে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

Check Also

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কর্মশালায় সাংবাদিকদের দাওয়াত নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় হাওর না থাকলেও হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করণীয়” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।