ক্রাইমবার্তা রিপোট : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও রাস্তায় ক্যামেরা, কলম ও নোটবুক রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকরা।
এ সময় সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট কালো আইন কার্যকর করেছে। এ আইনের মাধ্যমে দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। মিডিয়ার মৃত্যুঘণ্টা বাজানো হয়েছে। সমাবেশ থেকে সম্পাদক পরিষদের ৭ দফার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করা হয়।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে (একাংশ) আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, প্রবীণ সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত আইন। এ আইন কার্যকর করে সরকার সাংবাদিকসহ দেশের ১৬ কোটি মানুষকে নিরাপত্তাহীন করে দেয়া হয়েছে। এই কলঙ্কিত আইন সাংবাদিক সমাজ মানে না। এ আইন দেশের সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পরিপন্থী। এ আইন বাতিলের দাবিতে আমরা রাজপথে আছি ও থাকব। যত দিন এ আইন বাতিল না হবে তত দিন আন্দোলন চলবে।
শওকত মাহমুদ বলেন, এই আইন করা হয়েছে জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার জন্য। সরকারের কুকর্মের কথা যাতে প্রকাশ করতে না পারে সে জন্য। এ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিরোধী মতের মিডিয়াগুলোকে অপসারণ করা হবে। এমন কালো আইন সাংবাদিক সমাজ মানবে না। সরকারি কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া অফিসে ঢোকা যাবে না। তাদের লিস্টেড সাংবাদিক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না। এতে করে কোনো নিউজ সাংবাদিকরা করতে পারবে না। ফলে মালিকরা বলবে আমাদের আর সাংবাদিক দরকার নেই।
কর্মসূচি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ২৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ ফেডারেল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।