আপিলে তারেক রহমানকে অবশ্যই নির্দোষ বলে খালাস দেয়া হবে: : মওদুদ

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃবিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ৭ দিনের মধ্যেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার প্রণীত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ও ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ এই দুইটি বাতিল করবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন এবং জামিন নেবেন। আপিলে তারেক রহমানকে অবশ্যই নির্দোষ বলে খালাস দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

শনিবার সকালে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় মানববন্ধনে মহিলা দলের নূরজাহান ইয়াসমিন, জেবা খান, রাজিয়া আলীম, পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার, আমেনা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ও ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ এই দুই আইনের মাধ্যমে আমাদের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম আর স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশ করতে পারবে না। কারণ হাত-পা বেঁধে দেয়া হয়েছে, এখন মুখও বেঁধে দেয়া হয়েছে। বাক স্বাধীনতা বলতে যা বুঝায় আমাদের সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার সেটা আজকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমি বলতে চাই, আগামীতে আমরা ক্ষমতায় গেলে এই দুইটি আইন সাত দিনের মধ্যে বাতিল করবো।

২১ আগস্টের গ্রেনেড মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারেক রহমান যেদিন ফিরে আসবেন আত্মসমর্পণ করে তিনি আপিল করবেন এবং তিনি জামিন নেবেন। তিনি আদালতে এটা প্রমাণ করবেন যে, তার বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে সেটা অচল রায়। এই রায় কার্যকর হবে না। সেই আপিলে তারেক রহমান অবশ্যই সফল হবেন এবং হাইকোর্ট থেকে বিচারে তাকে নির্দোষ বলে খালাস দেয়া হবে এই বিশ্বাস আমরা রাখি।

মওদুদ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলার মূল বিষয়টাকে সরিয়ে দিয়ে শুধু রাজনৈতিক কারণে আজকে এই মামলার রায়কে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে সরকার। তারেক রহমান এই ঘটনার সঙ্গে বিন্দুমাত্র জড়িত ছিলেন না এবং যখন বিএনপি সরকারের সময়ে এই ঘটনা ঘটে আমরা তখন তদন্তের জন্য এফবিআই ও ইন্টারপোলকে এনেছিলাম ঢাকায়। তারা তদন্ত করেছেন কিন্তু সেই তদন্তে কখনো তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে শুধু তারেক রহমানের নামকে জড়িয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নির্যাতন করে যে দ্বিতীয় জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সাজা দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এই রায় একটি ফরমায়েসি। এই রায় দেশের মানুষ মানে নাই।

জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে গ্রাম-গঞ্জে জাতীয় ঐক্যফন্টের ডাক পৌঁছে গেছে। মানুষ এই ঐক্যের মাধ্যমে এই সরকারের পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। সকল দল-মতকে নিয়ে এটা একটি জাতীয় ঐক্য এবং এরমাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন আনা হবে, সরকারকে সংলাপে বসতে এবং সংসদ বাতিল করতে। এই ঐক্যের আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করবো। সেই নির্বাচনে ইনশাল্লাহ যারা সত্যিকারের প্রতিনিধি তারা জয়লাভ করবেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং আগামীতে জনগণের সরকার গঠন হবে।

Check Also

ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।