ক্রাইমবার্তা রিপোট: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার সকালে আরামগস্থ গণফোরাম অফিসে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে এতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, এখন থেকে আরামবাগস্থ গণফোরামের অফিস হবে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়।
এছাড়া সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরী।
আজ সোমবার রাতেই সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং বিএনপি নেতা শাহজাহান সিলেট যাবেন সেখানে অনুষ্ঠেয় সভা সফল করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য।
বৈঠকে এছাড়া অন্যান্য কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
উপস্থিত ছিলেন কিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, মনিরুল হক চৌধুরী, গণফোরাম নেতা আ ও ম শফিউল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার ও মমিনুল ইসলাম।
আরো পড়ুন :
সংলাপের জন্য সরকারকে চিঠি দেবে ঐক্যফ্রন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপসহ ৭ দফা জানিয়ে শিগগিরই সরকারকে চিঠি দেবে নতুন রাজনৈতিক মোর্চা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল রোববার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের এক বৈঠকের পর জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, আমরা সরকারকে জানাব যে, আমরা যারা অংশী, আমরা যারা শরিক, আমরা যারা নির্বাচন করতে চাই তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা না করে যেন তফসিল ঘোষণা না করা হয়। সে জন্য আমরা ৭ দফা দাবি সরকার ও সরকারি দলকে চিঠি দিয়ে জানাব। একইভাবে আমাদের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও আমাদের একটি প্রতিনিধিদল যাবে।
রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে এ বৈঠক বসে বিকেল ৫টায়। চলে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী। গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেন ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, বরকতউল্লাহ বুলু, মনিরুল হক চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোহাম্মদ শাহজাহান, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার, মোকাব্বির খান, শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মো: মনসুর আহমেদ, আ ব ম মোস্তফা আমিন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, জাহেদুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ছিলেন। গণফোরাম কার্যালয়ে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।
কবে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে চিঠি দেবেন প্রশ্ন করা হলে রব বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে লিখিতভাবে ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করে আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে চিঠি যাবে। তবে কবে দেয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। যতটুকু সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমি আপনাদেরকে বলেছি। যুক্তফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, আজকে সকালে চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিলেটের জনসভার আগেই তার মুক্তি দাবি করছি।
তিনি জানান, আগামী ২৪ অক্টোবর সিলেটে রেজিস্ট্রি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে জনসভা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন ও প্রধান বক্তা থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আ স ম রব বলেন, আমরা বলেছি আমরা যেকোনো উপায়ে সিলেটে যাবোই। আমাদের যাওয়ার ঘোষণায় সরকার বুঝেছে -বাধা দিলে বাধবে লড়াই , এই লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা কোনো চাপের কাছে, কোনো স্বৈরাচারী আচরণের কাছে মাথা নত করব না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এটা বুঝতে পেরে সরকার সিলেটের জনসভার এই অনুমতি দিয়েছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তাদের এই শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার জন্য। আমি আশা করি, আগামী ২৭ তারিখে চট্টগ্রামের জনসভারও তারা অনুমতি দেবে। রাজশাহীর জনসভার তারিখ ৩০ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে ২ নভেম্বর করা হয়েছে। তিনি জানান, সুশীল সমাজ-বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় হবে ২৬ অক্টোবর বিকেল ৩টায় হোটেল পূর্বাণীতে। এ ছাড়া শিক্ষকদের সাথেও মতবিনিময় করা হবে। যার সময়সূচি নির্ধারণ হয়নি।