আবারো যুক্তরাষ্ট্র বললেন তারা বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ নির্বাচন চায়: বার্নিকাট

ক্রাইমবার্কি রির্পোটঃ  সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় বলে জানিয়েছে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সরকার আন্তরিক বলে বিশ^াস করি। সব দলের অংশগ্রহণে, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা আমাদের সবার। দেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে সব রাজনৈতিক দল আন্তরিক হবে বলে আশা করি।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধভাবে সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করে, নির্বাচন প্রতিহত করার নামে প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশব্যাপী মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। এটি তাদের সঠিক পথ ছিল না, এখন তা বুঝতে পেরেছে। সে নির্বাচনে অংশ না নেয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। বিএনপি আবাব সে ভুল করবে বলে আমার মনে হয় না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবে। এ সময় সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। এ নির্বাচনে দেশের সব দল অংশগ্রহণ করবে বলে আমি বিশ^াস করি। কোনো দলকে বাদ দিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই না।
তোফায়েল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে এখন তিন শতাধিক গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশে^র এক নম্বর ডেনিম ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে। এখানে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকেরা কারখানায় কাজ করছেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ। বাংলাদেশ এখন নিজেই কারাখানা নিরাপদ রাখতে সক্ষম এবং নিজ ব্যবস্থাপনায় কারখানার তদারকি করবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তৈরী পোশাক শিল্পে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধান করেছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক আমদানিকারক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে। এ শিল্পে নিরাপদ কাজের পরিবেশ ও শ্রম অধিকারে অনেক উন্নতি হয়েছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর অ্যাকোর্ড, অ্যালায়েন্স, তিন রাষ্ট্রদূত ও পাঁচ সচিবের কমিটি তৈরী পোশাক শিল্পকে নিরাপদ করতে অনেক অবদান রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে সফল বাণিজ্য করছে, দিনদিন এ বাণিজ্য বাড়ছে। বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ আছে, আগামীতে আরো বাড়বে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ড. কামাল হোসেনের সক্ষমতা সম্পর্কে দেশবাসী জানে। বিএনপি খুনিদের দল হিসেবে প্রমাণিত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তা প্রমাণ হয়েছে। তাদের সাথে হাত মিলিয়ে ড. কামাল হোসেন সফল হতে পারবেন না।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মন্তব্য নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশবাসী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ঘৃণা করে। তিনি রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি মোস্তাক ও ফ্রিডম পার্টির সাথে রাজনীতি করেছেন। শিবিরের কর্মিসমাবেশে তাদের কার্যকলাপের প্রশংসা করে বক্তৃতা করেছেন। একজন নারী সাংবাদিককে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সাংবাদিক সমাজ তাকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫৫ জন সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন।

Check Also

তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ-সমাবেশ

মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : তাবলীগ জামাতে সাদপন্থীদের বর্বোরিচত হামলার প্রতিবাদ ও সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।