ক্রাইমবার্কি রির্পোটঃ রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রংপুরে দায়ের করা মানহানির একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্মকমিশনার মাহবুব আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম রংপুরের একটি মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তাকে সেই পরোয়ানায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
আরো দেখুন: রংপুরে মইনুলের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা: গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
রংপুর অফিস
সাংবাদিক ও কলামিষ্ট মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলার অপরাধে তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্বে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। সোমবার বিকেলে এই মামলাটি দায়ের করেন মানবাধিকার কর্মী মিলি মায়া।
রংপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মালেক জানান, বিকেলে মানবাধিকার কর্মী মিলি মায়া মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা মানহানির মামলা করেন। মামলায় সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহন করে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এ ব্যপারে মানবাধিকার কর্মী মিলি মায়া বলেন, ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্রিকে চরিত্রহীন বলে নারী জতিকে অপদস্ত করেছেন। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলায় বিচারক ওয়ারেন্ট দিয়েছে। আমি আশা করি সুষ্ঠু বিচার পাবো।
ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দায়ের হওয়া এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা আহমেদ এ পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে দুপুরে ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আয়েশা আহমেদ লিজা বাদী হয়ে মইনুলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদি আয়েশা আহমেদ লিজা জানান, টকশোতে মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে করা মঈনুল হোসেনের মন্তব্য সকল নারী সাংবাদিকদের জন্য অবমাননাকর বলেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমি মামলাটি দায়ের করেছি ।
বাদিপক্ষের আইনজীবী সারোয়ার-ই-আলম সাংবাদিকদের জানান, ৫০০/৫০১ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আমরা আদালতে মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছি। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিকেলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ভোলায় মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
ভোলা সংবাদদাতা
নারী সাংবাদিককে কটূক্তির অভিযোগে ভোলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে জুডিসিয়ালি তদন্ত দিয়েছে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে। সোমবার দুপুরে ভোলা যুব মহিলা লীগ আহবায়ক খাদিজা আক্তার স্বপ্না বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টিভির একাত্তর জার্নাল নামে একটি টকশোতে প্রখ্যাত সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে অবমাননা করে বক্তব্য দেন মইনুল হোসেন। যার মাধ্যমে নারীদের মর্যাদাকে হেয় করা হয়েছে। তার বক্তব্য মানহানিকর।
মামলায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিচারক শরীফ মোহাম্মদ ছানাউল হক মামলাটি গ্রহণ করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে জুডিসিয়ালি তদন্ত দিয়েছে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। আগামী ৩১ অক্টোবর তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।