ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ রংপুরে দায়ের হওয়া একটি মানহানি মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মইনুলের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও ঢাকা বারের সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু।
সোমবার দিবাগত রাতে রংপুরে দায়ের করা মানহানির এক মামলায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারের পর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকেই আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেয়া হয়।
রংপুরে সোমবার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া। তিনি রংপুর নগরীর মুলাটোল মহল্লার বাসিন্দা।
মামলাটি তার পক্ষে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আইনুল হোসেন। আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’-এ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’