সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২১ সৌদি নাগরিকের মার্কিন ভিসা বাতিল কিংবা অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। এ সাংবাদিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদির বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।এর পর থেকে এসব সৌদি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এদিকে খাশোগি হত্যার ঘটনাকে পরিকল্পিত নির্মম হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে দায়ীদের সাজা দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তিনি বলেন, ঘাতকরা যত উচ্চপর্যায়েরই হোক তাদের সবাকেই শাস্তি পেতে হবে।
সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম না নিলেও এরদোগান বলেন, খাশোগি হত্যার নির্দেশ যিনি দিয়েছেন তাকেও জবাবদিহি করতে হবে।
ক্রাউন প্রিন্সই সৌদি সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ধারণা মার্কিন কয়েকজন আইনপ্রণেতার।
এরদোগান বলেন, সৌদি আরব প্রশাসন খাশোগি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন আমরা আশা করব, এ ঘটনায় ওপর মহল থেকে নিচ পর্যন্ত দায়ী সবার মুখোশ তারা খুলে দেবে এবং তাদের সমুচিত সাজা দেবে।
‘হত্যার নির্দেশ দেয়া থেকে শুরু করে সে নির্দেশ পালন করা ব্যক্তিটি পর্যন্ত সবাইকেই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে সৌদি আরবকে।’
গত ২ অক্টোবর খাশোগি তুরস্কে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তুরস্ক সৌদি চররা তাকে খুন করেছে বলে দাবি করে এসেছে।
তবে সৌদি আরব প্রথমে তা অস্বীকার করে এবং ঘটনার ১৭ দিন পর খাশোগি খুন হওয়ার কথা স্বীকার করে। কিন্তু খুনের ঘটনা নিয়ে দেশটি একাধিকবার বিবৃতি পাল্টেছে। মরদেহ কোথায় আছে তাও জানা নেই বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।