ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ:সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় ডাক্তার আরিফের প্রাইভেট চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার সকালে শহরের পালাশপোল এলাকার নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত তামান্না খাতুন (২৭) কালীগঞ্জ উপজেলার কলিযোগা গ্রামের সেলিম গাজীর মেয়ে।এ ঘটনায় ওই প্রাইভেট চেম্বারের চিকিৎসকের সহকারী আবু সাইদকে আটক করেছে পুলিশ।সাইদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের আশরাফ হোসেনের ছেলে।জানা গেছে, তামান্নার সাবেক স্বামীর নাম রফিকুল ইসলাম। তাদের একটি ছোট মেয়েসন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে সাঈদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই প্রদীপ কুমার দাস জানান, নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট চেম্বার ও একই স্থানে পরিবার নিয়ে থাকেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. কাজী আরিফ আহমেদ। আবু সাঈদ চিকিৎসকের সহকারীর (রোগীদের সিরিয়াল দেয়ার) কাজ করতেন।মঙ্গলবার ওই চিকিৎসক সপরিবারে ঢাকায় যান। তিনি ঢাকায় গেলে আবু সাঈদকে তার বাসার দেখাশোনার দায়িত্ব দেন।তিনি জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে আবু সাঈদ একাই সেখানে ছিলেন। খবর পেয়ে তামান্না কালীগঞ্জ থেকে সেখানে চলে আসেন।এ সময় তাকে বিয়ে করার জন্য বারবার তাগিদ দেন তামান্না। একপর্যায়ে তারা দুপুরে ও রাতে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন।
এসআই প্রদীপ কুমার দাস জানান, রাতের কোনো একসময়ে তামান্না ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগী অপেক্ষার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।তামান্নার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আটক আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
——0———–
সাতক্ষীরায় ডাক্তার আরিফের চেম্বার থেকে তামান্না খাতুন (২১) নামে এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তার প্রেমিক আবু সাইদকে আটক করেছে। বুধবার সকালে শহরের পালাশপোল এলাকায় নাহার ডায়গনিষ্টিক সেন্টার থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
তামান্না কালিগঞ্জ উপজেলার কলিযোগা গ্রামের সেলিম গাজীর মেয়ে। আটক আবু সাইদ সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের আশরাফ হোসেনের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ দাশ জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার কাজী আরিফ আহমেদ নাহার ডায়গনিষ্টিক সেন্টারে প্রাইভেট চেম্বার ও একই স্থানে তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন। মঙ্গলবার তিনি স্বপরিবার নিয়ে ঢাকায় যান। আবু সাইদ রোগিদের সিরিয়াল দেওয়ার কাজ করতো। ডাক্তার ঢাকায় গেলে আবু সাইদকে উক্ত বাসায় দেখাশুনার দায়িত্ব দেন। সাইদের সাথে তামান্নার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মঙ্গলবার তামান্না বিয়ের দাবীতে ডাক্তারের চেম্বারের আসে। এসময় আবু সাইদ বিয়ে করতে তালবাহানা করলে রাতে সে ডাক্তারের চেম্বারে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতল মর্গে প্রেরণ করেছে।
ডাক্তার কাজী আরিফ আহমেদ জানান, তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় আছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।