ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:ভারতের অন্যতম প্রধান তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের কাজে সরকার যেভাবে হস্তক্ষেপ করছে তার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে কংগ্রেস বিক্ষোভ জানিয়েছে। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সিবিআইয়ের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয় নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়াতেই সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এদিন বিক্ষোভ দেখানোর পরে রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতারা থানায় গিয়ে প্রতীকি গ্রেপ্তার বরণ করেছেন।
ট্যুইট করে কংগ্রেস সভাপতির গ্রেপ্তারের খবর জানিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূরযেওয়াল জানিয়েছেন, সিবিআই সদর দপ্তরের বাইরে রাহুল গান্ধীসহ যেসব কংগ্রেস নেতারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এদিন সুপ্রিম কোর্টে অলোক ভার্মার করা মামলায় আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে ভার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাবেক বিচারপতি এ কে পট্টনায়েকের তদারকিতে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন তদন্ত করবে। সেইসঙ্গে সদ্য ভারপ্রাপ্ত অর্ন্তবর্তী সিবিআই ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাওকে আপাতত কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দিল্লি। এদিন কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সিবিআই সদর দপ্তরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেতর বাঁধা দিয়েছে।
একপর্যায়ে ব্যারিকেডের উপর উঠে রাহুল কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহিত করেছেন। পরে সেখানে তিনি ধরনায় বসেছিলেন।
কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, সরকার স্বাধীন ভাবে কাজ করতেই দিচ্ছে না সিবিআইকে। অলোক ভার্মার অপসারণকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে কেন্দ্রের মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল। তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সিপিআইএম, সিপিআই ও লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতাকর্মীরাও এদিন কংগ্রেসের বিক্ষোভে সামিল হযেছিলেন।