ড. কামাল বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানী করেছেন : নাসিম

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের সাথে জাতীয় ঐক্য করে সাথে ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানী করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের কামাল হোসেনকে কামাল বানিয়েছেন আওয়ামী লীগ। সে আজ বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানী করেছেন। কিলার, আত্মস্বীকৃত খুনীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী শনিবার গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন নার্সিং কলেজের উদ্বোধনী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ড. কামাল হোসেন একজন তরুণ ব্যারিস্টার ছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী করে কামাল হোসেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আজ সে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পক্ষ নিয়েছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ, অতিরিক্ত সচিব বদরুন নেছা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা সিকদার, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মোহী, গাজীপুর জেলা প্রসাশক ড. দেওয়ান মোহাম্মাদ হুমায়ূন কবীর, নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মধুসুদন চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আমরা উৎসব করব।

আরো পড়ুন :

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য : মেনন
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:০১

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য। তারা ভালভাবেই জানে যে তাদের সাত দফা পূরণ হবার নয়। তারপরও এ নিয়ে তারা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

শনিবার পল্টনস্থ মণি সিংহ-ফরহাদ ট্রাস্ট্রের শহীদ মনির আজাদ সেমিনার হলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের ব্রিফিং সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন একথা বলেন। মেনন আরো বলেন, এই বিভ্রান্তিকে মোকাবেলা করেই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে হবে।

তিনি বলেন, দুভার্গ্যক্রমে নির্বাচন বর্তমানে টাকার খেলায় পরিণত হয়েছে। সাথে যুক্ত হয়েছে প্রশাসন ও পেশী শক্তির প্রভাব। এর ফলে ভোট দেওয়ার অধিকার ও নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনে টাকার প্রভাব, প্রশাসন ও পেশী শক্তির নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে জনমনে সৃষ্ট এই সংশয়কে দূর করতে দৃঢ় ও যথাবিহিত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে নির্বাচনবিরোধী শক্তির হাতই শক্তিশালী হবে।

সভার শুরুতে পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ১৪ দলসহ নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন। বাদশা বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি ১৪ দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। পাশাপাশি দলগতভাবে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি থাকবে। তিনি নির্বাচনে সরকারের দশ বছরে উন্নয়ন কার্যক্রমসহ জনগণের বিভন্ন অংশের পক্ষে গৃহীত ব্যবস্থাদি জনগণের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ও পার্লামেন্টারী বোর্ডের সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মল্লিক, পার্লামেন্টারী বোর্ডের সদস্য কমরেড কামরূল আহসান।

সভায় পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সুশান্ত দাস পোলিং এজেন্ট নির্দেশিকার পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন নুর আহমদ বকুল, ইকবাল কবির জাহিদ, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, হাজি বশিরুল আলম, শেখ হাফিজুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সিরাজুল ইসলাম শেখ, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, মোস্তফা আলমগীর রতন, ইয়াসিন আলী, টিপু সুলতান, অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, এ্যাড. ফিরোজ আলম, আহসান উল্লাহ, করম আলী, আবুল হোসেন, জাকির হোসেন, হিমাংশু সাহা, গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী, মাসুকুল হক মুরাদ, জাকির হোসেন বাবুল, ইমরান হোসেন চৌধুরী, মামুন অর রশিদ, জহুরুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ।

আরো পড়ুন : ৭ দফা আদায় না করে ঘরে ফিরবে না ঐক্যফ্রন্ট : ড. কামাল 
২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৪৪

‘যারা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, অপরাধ করে—তারা মনে করে, পার তো পেয়ে গেছি। এখন কে আমাদের বিচার করবে? ইনশাআল্লাহ, এবার ন্যূনতম যেটা আমাদের দাবি, যে সাত দফা দাবি এগুলো সময় থাকতে মেনে নিন। কিন্তু, এটা অমান্য করলে বিচার হবে। ২০১৪ সাল থেকে সংবিধান লঙ্ঘন করার জবাবদিহিতা, সেটাও জনগণ আপনাদের থেকে আদায় করবে।’ শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের কাজির দেউড়িতে অবস্থিত মহানগর বিএনপির কার্যালয় নসিমন ভবনের সামনে আয়োজিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম প্রধান নেতা ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের মানুষ আজ নিরাপদ নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়নি। ওই নির্বাচন সংবিধানবিরোধী হয়েছে। তাই এবার সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষে সাত দফা ঘোষণা করেছে ঐক্যফ্রন্ট। এই সাতদফা আদায় না হলে ঐক্যফ্রন্ট ঘরে ফিরবে না। এটা গণমানুষের দাবি।

সিলেটে গণরায় হয়েছে উল্লেখ করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকে আপনারা জানিয়ে দিন, যারা ক্ষমতা আকড়িয়ে বসে আছে তাদের। হাত উঁচু করে বলুন, আপনারা সাত দফার পক্ষে আছেন কি না। আপনার রায় দিয়েছেন, এখানেও গণরায় হয়ে গেছে। এরপর আমরা রাজশাহীতে যাবো, শেষে ঢাকায় এটাকে আমরা সম্পন্ন করবো। এবার জনগণ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। আপনারা জেনে রাখুন, এই চিটাগং থেকে জনসভা করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অর্থাৎ এটা অসম্ভব না। এটা সম্ভব।’

এ বক্তব্যেও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষের দাবি ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবির কথা তিনি শুরুতে বলেননি। এ সময় পাশ থেকে এক নেতা তাকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়ার ব্যাপার নয়, এটা তো হওয়ার ব্যাপার। এটা আর কত চাওয়া হবে। চাইতে চাইতে তো মানুষ ক্লান্ত হয়ে গেছে। ওর মুক্তি অবশ্যই হোক।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ অক্টোবর সিলেটে প্রথম সমাবেশ করে ঐক্যফ্রন্ট। সেখানেও জনসভার শেষদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে অপর এক নেতা মনে করিয়ে দিলে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তো সাত দফার মধ্যেই আছে বলে মন্তব্য করেন ড. কামাল হোসেন।

এ জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির সিনিয়র নেতারা এবং ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অন্য দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

এর আগে দুপুর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে থাকে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কাজির দেউরি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। সমাবেশকে ঘিরে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সমাবেশ শুরুর আগে সকাল ১০টায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চট্টগ্রাম পৌঁছান। এরপর তারা হজরত শাহ আমানত (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন।

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।