সংলাপ চেয়ে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দিলো ঐক্যফ্রন্ট

সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ রবিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম প্রধান নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এ চিঠিটি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়ে আসেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক ও দলটির যুগ্ম সেক্রেটারি আ হ ম শফিকুল্লাহ। চিঠিটি গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।
এ চিঠিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্য উল্লেখ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংলাপ আয়োজনের দাবি করা হয়েছে।
চিঠি পাওয়ার পর এর সত্যতা নিশ্চিত করে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরাবর ঐক্যফ্রন্টের পাঠানো দুটি চিঠি আমরা পেয়েছি। আগামীকাল চিঠিগুলো খোলা হবে। এরপর এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হবে কিনা তা ঠিক করা হবে।

 

 

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ৭ দফা দাবি তুলে ধরে সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি  কার্যালয়ে এই চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন গণফোরাম নেতা আ অ ম সফিউল্লাহ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক। 

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ চিঠি গ্রহণ করেছেন।  চিঠিতে ড. কামাল হোসেন সাক্ষর করেছেন।

গত ২৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। শনিবার এ চিঠি পাঠানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। চট্টগ্রামে ফ্রন্টের সমাবেশের কারণে নেতারা সবাই সেখানেই ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংলাপের উদ্যেগ নেওয়ার তাদিগ দিয়ে চিঠি দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছেও একটি চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে ঐক্যফ্রন্ট নেতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু স্বাক্ষর করেছিলেন । তবে এই চিঠি ওবায়দুল কাদেরর পক্ষ থেকে কেউ গ্রহণ করেননি।

প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানে চিঠি নিচে দেওয়া হলো :  

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি

 

সঙ্কট নিরসনে সোমবার রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিবে বাম জেট

সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনে সংলাপের পাশাপাশি সঙ্কট নিরসনে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানাবে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবৃন্দ ।সোমবার জোটের পক্ষ থেকে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্মারকলিপি প্রদাণের মাধ্যমে এ আহবান জানাবেন তারা। তবে এর পাশাপাশি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনের দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচি নিয়ে নামতে যাচ্ছে জোটটি। দাবি আদায়ে এবারের কর্মসূচির বেশিভাগ থাকবে রাজপথ জুড়ে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নয়া দিগন্ত প্রতিবেদককে বলেন,চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে। সরকারকে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের গণদাবি মেনে নিতে হবে।

সংসদের চলতি অধিবেশনে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে। আর এধরণের গণদাবি অগ্রাহ্য করা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি দায় সরকারকেই নিতে হবে-এসব বিষয়গুলি আমরা স্মারকলিপিতে তুলে ধরব। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি তার নৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকারকে কার্যকর রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণে পরামর্শ দিতে পারেন। আমরা রাষ্ট্রপতিকে সে পরামর্শটি সরকারকে দেয়ার জন্য অনুরোধ করবো। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তার বর্তমান অবস্থান থেকে যতটুকু করনীয় তা যেন তিনি করেন। এর মধ্যে থাকতে পারে রাজনৈতিক দলগুলির সাথে সংলাপের পাশাপাশি অন্য সব বিষয়।

সাইফুল হক জানান, সোমবার বেলা এগারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রথমে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেখা থেকে রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে স্মারকলিপি দেয়ার ব্যপারে যোগায়োগের চেষ্টা করা হবে। রাষ্টপ্রতি বাম জোটের নেতাদের সাথে দেখা করলে সেখান থেকে জমায়েত থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল দেখা করতে যাবেন রাষ্ট্রপতির সাথে। আর যদি দেখা না করতে চান সেক্ষেত্রে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বঙ্গভবন অভিমুখে যাওয়া হবে। সেখানে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে তিনি জানান ।

তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, জনগণের আস্থাহীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে বাম জোটের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির ইতোমধ্যে পালিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কমিশন অভিমুখী ঘেরাও মিছিলসহ জুলুমের প্রতিবাদ ও বন্দি মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এব্যাপারে বাসদ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ নয়া দিগন্তকে বলেন, এধরনের কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে। তিনি জানান আজ রোববার আবারও জোটের পক্ষ থেকে বসে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে। দেশ বাঁচানো, গণতন্ত্র বাঁচানোর ঘোষণা দিয়ে গত ১৮ জুলাই, পুরান পল্টনস্থ মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আট দলের সমন্বয়ে ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ গঠন করা হয়।

আরো পড়ুন : সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে স্বৈরাচার আটকাতে বাংলাদেশ ঘেরাও করতে হবে : রব
 ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪৭

প্রয়োজনে বাংলাদেশ ঘেরাও স্বেরাচার আটকানোর ঘোষণা দিয়েছেন জে এস ডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবেনা, বাংলাদেশ ঘেরাও করতে হবে। স্বৈরাচার যাতে পালাতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনা বিচারে পালাতে দেবনা, পালাবার রাস্তা নাই।

সংসদ ভেঙ্গে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন রব।  তিনি বলেন, ৭ দফা মেনে না নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করলে বলবো সরকার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবেননা। পুলিশ আর বেশিক্ষন সরকারের পাশে নাই। খালেদা জিয়াকে নি:সঙ্গ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন, এজন্য ক্ষমা নাই। মামলা হামলায় কাজ হবেনা, ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে, জনতার কাছে আত্মসমর্পন করতে হবে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান চেতনা গণতন্ত্র আজ আওয়ামী বাক্সে বন্দী। চট্টগ্রামের সমাবেশে সরকার পদে পদে বাধা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিছিল আসতে দিচ্ছেনা, সড়কে দাঁড়াতে দিচ্ছেনা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে, তবুও জনতার স্রোত নেমেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এই চট্টগ্রাম থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি পুলিশ প্রশাসনকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, আজকে আওয়ামীলীগ যা করেনি, আপনারা তা করেছেন। মনে রাখবেন আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, হুশিয়ার হয়ে যান। সরকারের বেআইনী হুকুম না মেনে জনগনের পাশে দাড়ান।
ব্যারিষ্টার মওদুদ বলেন, সরকার কোন ভাবেই চাইবেনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে। নির্বাচনের আগে যাতে সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির সমালোচনা প্রকাশ করা না যায় সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার নীতিমালা করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মওদুদ বলেন, আমরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। এই ঐক্যেই স্বৈরাচারের পতন আনবে, গনতন্ত্র ফিরে আসবে। আওয়ামী লীগকে একটি অসহিষ্ণু স্বৈরাচারী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের এই আচরণের কারণে জনগন ভোটের অধিকার হারিয়েছে, আইনের শাসন হারিয়েছে, বিচার বিভাগ স্বাধীনতা হারিয়েছে এবং সর্বোপরি গণমাধ্যম স্বাধীনতা হারিয়েছে।

মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, আমরা শুধুই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন চাই। তিনি বলেন, কোন অধিকার কেউ দেয়না, আদায় করে নিতে হয়। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জাতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবেন না, তা দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়াকে জনমানবহীন কারাগারে রেখে দেয়া কোন ধরনের মানসিকতা? গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেয়া জায়গায় আহত মুক্তিযোদ্ধা নিজের সব কিছু ত্যাগ করে গনস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে জনগনের সেবা করে আসছিলেন, আর সে প্রতিষ্ঠানে কুকুরদের লেলিয়ে দিয়ে ধবংশ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধূরী বলেন, বর্তমান সরকার পাকিস্তানিদের চাইতে খারাপভাবে দেশ শাসন করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের ছায়াকেও এখন ভয় পান মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনি জনতাকে ভয় পাবেননা। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা আইনজ্ঞ, আইনের মানুষ। তাই খালেদা জিয়াকে যেভাবে হেনস্থা করছেন, তার পূনরাবৃত্তি হবেনা এই নিশ্চয়তা আছে। তিনি বলেন, এই চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান, তাকে নিয়েও কটুক্তি করা হয়। মাওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হতেন না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আর মাত্র ১০ দিন অপেক্ষা করেন, দেখেন কি হয়। বিজয় নিশ্চিত।

মাহমুদুর রহমান মান্না সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আমাদের একটাই শ্লোগান তুমি যাও, ভোট দাও, ক্ষমতা ছাড়। তিনি বলেন, আমরা এই সরকারের পতন চাই, গনতন্ত্র রক্ষা করতে চাই। তিনি বলেন, জনগনের জয় হবে, ঠেকানোর কোন শক্তি নাই। ৭৩ বছর বয়সেও একজন ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় অন্যায়ভাবে, জবরদস্তি মূলকভাবে মিথ্যা মামলায় নির্জন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে আটকে রাখা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

  • জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা
    # অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।

# গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

# বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সকল রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

# কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাংবাদিকদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালো আইন বাতিল করতে হবে।

# নির্বাচনের ১০ দিন পূর্ব থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্য্ন্ত বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।

# নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ভোট কেন্দ্র, পোলিং বুথ, ভোট গণনাস্থল ও কন্ট্রোল রুমে তাদের প্রবেশের ওপর ওপর কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ না করা এবং নির্বাচনকালীন সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর যে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে।

# তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা এবং নতুন কোনো মামলা না দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

এদিকে জনসভায় আসতে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপি’র পক্ষ হতে। তাছাড়া নগরীর নাসিমন ভবনের সম্মুখ সড়কের আউটার স্টেডিয়াম প্রান্তে ফুটপাতের উপরও পুলিশ কাউকে দাঁড়াতে দেয়নি। ব্যাপক জনসমাগম হলেও নির্দিষ্টস্থানের বাইরে মাইক টাঙ্গাতে বাধা দেয়ার কারনে কাজির দেউরী বাজার, ভিআইপি টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় দাড়িয়ে থাকা বিপুল সংখ্যক লোক জাতীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনতে পারেননি বলেও বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।