পরিবহন ধর্মঘটে নৈরাজ্য ॥ রাজপথে আলকাতরা মবিলের হোলিখেলা# সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার সাধারণ যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার : পরিবহন ধর্মঘটের নামে সারা দেশে নৈরাজ্য চালিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। দাবি আদায়ের নামে এরূপ বর্বর নৈরাজ্য অতীতে আর দেখা যায়নি। আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের প্রথম দিন রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বেশ কয়েকজন চালকের মুখে পোড়া ইঞ্জিন ওয়েল, কালো রঙ ও আলকাতরা মাখিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও। লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরাও। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সব কয়টি বন্দর অচল হয়ে পড়েছে।
তবে ধর্মঘট আহ্বানকারী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেড়ারেশনের ভাষ্য, তারা আশঙ্কা করছে, আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ ঘটনা ঘটানো হতে পারে। এর পেছনে কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে বলেও ধারণা তাদের।
নারায়ণগঞ্জে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের বহন করা বাসেও হামলা চালিয়েছে আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় তারা বাসচালক ও ছাত্রীদের গায়ে পোড়া মবিল লেপন করেছে। পাশাপাশি ভেঙেছে বাসের গ্লাস।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি পাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটায় শ্রমিকরা। পরে বাসটি সেখানে থামিয়ে দিয়ে আর যেতে দেয়নি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকা পার হওয়ার সময় হঠাৎ শ্রমিকরা বাসটি থামিয়ে চালককে মারধর করে ও তার মুখে, শরীরে পোড়া মবিল লেপে দেন।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবিবা বলেন, আমাকে চালক জানিয়েছে ঘটনা। সেখানে শ্রমিকরা কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করেছে এবং ছাত্রীদের সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছে। তাদের গায়ে পোড়া মবিলও দিয়েছে জানালো। বাসটি আপাতত একপাশে রাখা হয়েছে, কলেজে বাসটি ফিরলে বিস্তারিত জানতে পারবো।
একই সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী না থাকায় পোড়া মবিল লেপে দেন শ্রমিকরা।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক আব্দুল্লাহ জানান, রোগী আনতেই তিনি যাচ্ছিলেন। রোগী আনতে গেলে তো খালিই যেতে হবে। তবে তার সেই কথা না শুনেই কালি ও পোড়া মবিল দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের বাইরের দিক ভরে ফেলেন শ্রমিকরা।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণপরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্যের ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষ করে নগরীর যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা ও রিকশা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। এ সময় প্রাইভেটকার চালকদের মুখে কালো রঙ, পোড়া মবিল ও আলকাতরা মেখে দিতে দেখা গেছে কিছু শ্রমিককে। ধর্মঘটে ব্যক্তিগত গাড়িও চলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে এই পরিবহন নৈরাজ্য চললেও সবচেয়ে হয়রানির শিকার হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবাং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেড়ারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে আমরা তাকে চিহ্নিত করেছি। তাকে প্রাথমিকভাবে ফেডারেশন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কমিটি তদন্ত করে দেখবে এর পেছনে কোনও ইন্ধন আছে কিনা। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তির নাম তিনি বলতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, কোনও যাত্রী বা চালককে সামাজিকভাবে হেয় করার অধিকার কারো নেই। আমাদের আন্দোলনে তো এমন হওয়ার কথা না। আমাদের আন্দোলনে কোনও অবরোধ হবে না। রাস্তায় ব্যারিকেড হবে না। তৃতীয় পক্ষ সুবিধা নিতে পারে এমন আশঙ্কায় আমরা এগুলো পরিহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু কারা কী জন্য এটা ঘটিয়েছে, সেটা আমরা তদন্ত করছি।
সাধারণ যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চালকদের সঙ্গে এমন আচরণের বিষয়ে সরকার সমর্থিত সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ (খোকন) বলেন, ‘ধর্মঘট আহ্বানকারীদের ইন্ধন ও উসকানিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তারা সাধারণ যাত্রী, ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি সিএনজি অটোরিকশা চালকদেরও হেনস্থা করেছে। তারা অনেক সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে। ধর্মঘট ডাকার যেমন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে, ঠিক ধর্মঘট না মানারও আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তাই কাউকে সামাজিকভাবে হেনস্থা করতে পারে না।
তিনি বলেন, এমন ঘটনা শুধু যাত্রাবাড়ীতে নয়, জুরাইন, মির হাজিরভাগ, পোস্তা, শনির আখড়া, চিটাগাং রোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শ্রমিক নেতা ওসমান আলী বলেন, সরকার যে আইন করেছে তা পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। আটটি ধারার মধ্যে জামিন অযোগ্য আইন বাতিল করতে হবে, না হলে পুরো দেশে গাড়ি চলবে না।
তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি না বসে তাহলে এ কর্মসূচি আরও দীর্ঘায়িত হবে। ৪৮ ঘণ্টা শেষে ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘট চলবে। এরপর লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবো।
তিনি অভিযোগ করেন, আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতিতে গিয়েছি।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গতকাল সকাল থেকেই সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আকষ্মিক এই ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। গতকাল রাত থেকেই লঞ্চ-ট্রেনের টিকেট দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। সারাদেশ অনেকাংশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকায় বাস চলাচল বন্ধ। বিআরটিসির সীমিতসংখ্যক বাস চলাচল করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই নগণ্য। তাতে অফিস ও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছে। বিআরটিসির বাসে উঠতে সকাল ৬টা থেকেই রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। অনেক রুটে আবার বিআরটিসির বাসও নেই।
গণপরিবহন উধাও হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত চাপ পড়েছে সিএনজি, ট্যাক্সি ক্যাব এবং পাঠাও-উবারের ওপর। সুযোগ পেয়ে এরা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাঠাও-উবারের মত অ্যাপ-চালিত শেয়ারিং রাইডে মিটারিং সিস্টেমে ভাড়া হওয়ার কথা থাকলেও তা অনেক ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। অনেক চালক অ্যাপ বন্ধ রেখে চুক্তি ভাড়াতে যাত্রী পরিবহন করছেন।
বাড্ডার অধিবাসী সৈকত ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মাঝেমধ্যে বাসা থেকে বের হতে দেরি হয়ে গেলে তিনি ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছতে বাসে না উঠে পাঠাও অথবা উবার মটো’র মোটরসাইকেলে করে মতিঝিল আসেন। ভাড়া হয় সাধারণত ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। গতকাল  তিনি চুক্তিতে আসতে বাধ্য হয়েছেন। ভাড়া নিয়েছে ৩শ টাকা। অ্যাপ বন্ধ থাকায় ওই মোটরসাইকেলটি কোন অপারেটরে নিবন্ধিত তা তিনি জানতে পারেননি।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক শ্রমিক সমাবেশ থেকে আট দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- সড়ক দুর্ঘটনায় সব মামলা জামিনযোগ্য করা, শ্রমিকের অর্থদ- ৫ লাখ টাকা করা যাবে না, সড়ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা, ড্রাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণি করা, ওয়েস্কেলে জরিমানা কমানো ও শাস্তি বাতিল করা, সড়কে পুলিশী হয়রানি বন্ধ করা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া ও লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধ করা এবং যানবাহন নিবন্ধনের সময় শ্রমিকের নিয়োগপত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত থাকার ব্যবস্থা রাখা।
এদিকে চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে, পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামে নগরে বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রোববার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা হিউম্যান হলার, টেম্পু চোখে পড়লেও বাস কিংবা পণ্যবাহী কোন গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। শাহ আমানত সেতু মোড়, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, ইস্পাহানি, অলংকার মোড়, টাইগারপাস, দেওয়ান হাট ও বাদামতলী এলাকায় ছিল গাড়ির অপেক্ষায় থাকা মানুষের লম্বা লাইন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও গাড়ির দেখা না পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছেন গন্তব্যের দিকে। সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে সারা দেশে বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে খুলনা অফিস জানিয়েছে, পরিবহন ধর্মঘটে খুলনায় নজিরবিহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। বিশেষ করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। ধর্মঘটের কারণে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে না যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। এতে চাপ বেড়েছে ছোট ছোট যানবাহন ও ট্রেনের ওপর। যদিও ট্রেনের টিকিটও মিলছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালসহ শিববাড়ির মোড় ও রয়্যাল মোড় থেকে দূরপাল্লার কোন বাস চলাচল করছে না। প্রায় সব কাউন্টার বন্ধ। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল এবং বিভিন্ন পরিবহন ব্যবহার করে যাত্রীরা গন্তব্যে ছুটছেন। এর জন্য তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
গ্রীনলাইন পরিবহনের রয়্যাল কাউন্টারের বুকিং সহকারী জাহাঙ্গীর বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে কোন গাড়ি চলছে না। যারা ধর্মঘটের সময়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আগাম টিকিট কেটেছিলেন তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।
চালকের মুখে পোড়া মবিল দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। এই সড়কে চলাচলরত ইজিবাইক ও প্রাইভেট গাড়ির চালকদের মুখে পোড়া মবিল লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। পুলিশ নিরাপদ দূরত্বে অবস্তান করলেও ব্যবস্তা নিচ্ছে না।
রাজশাহী অফিস জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে রাজশাহীতে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে রাজশাহী থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা রুটের বাসও। এতে ধর্মঘটের শুরুতেই সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এরই মধ্যে সড়ক পথে বিভাগীয় শহর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে শহরের ভেতরে অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয় পরিবহন নেতারা জানান, সারাদেশে একযোগে শুরু হওয়া ধর্মঘটের সঙ্গে তারা একাত্মতা প্রকাশ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টা এ ধর্মঘট চলবে। সকাল থেকে শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনেই অচল হয়ে পড়ে রাজশাহী। দূর-দূরান্তে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েও যানবাহন না পেয়ে পথে পথে যাত্রীদের নানান হয়রানির শিকার হতে হয়।
উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে সারাদেশে বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে শহর এলাকার বিভিন্ন রুটের বাস।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।