ক্রাইমবার্তা রিপোট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করেছেন। সোমবার রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে তিনি ফোন করেন।
সংলাপের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের জানতে চান ঐক্যফ্রন্টের কতজন সদস্য সংলাপে অংশ নেবে।
ঐক্যফ্রন্টের সূত্রগুলো বলছে, মঙ্গলবার ফোন করে ওবায়দুল কাদের জানাবেন সংলাপের দিনক্ষণ। তবে আজ ফোনালাপে স্বল্প পরিসরে আলাপ হয়েছে। ৩১ অক্টোবর সম্ভাব্য সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর গণভবনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন।
এরআগে সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে বসবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলে, সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা। পার্টির পক্ষ থেকে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি এই সংলাপে আমরা সম্মত।
সংলাপের স্থান ও সময় কিভাবে নির্ধারণ করা হবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। ওবায়দুল কাদের বলেন, খুব শীঘ্রই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এই সংলাপের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ দফা কর্মসূচি ও ৭ দফা দাবি মেনে নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন দাবি মেনে নেয়া হবে আর কোনটা মেনে নেয়া হবে না আমরা এখন এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাইনা, সংলাপে সব বিষয়ে আলোচনা হবে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে বসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন। এসময় মওদুদ আহমেদ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ায় নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাকে মুক্তির দাবি জানান।
সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক চলছে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের চেম্বারে এই বৈঠক চলছে বলে জানা গেছে। তবে বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্য বিষয় নিয়ে কিছু জানা যায়নি তাৎক্ষণিকভাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে রয়েছেন জেএসডির আ স ম আবদুর রব ও আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু ও মোকাব্বির খান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও জাহেদুর রহমান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর ও আ ব ম মোস্তফা আমিন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীও এই বৈঠকে রয়েছেন।
আরো দেখুন : তফসিলের আগেই সংলাপে রাজি আওয়ামী লীগ
২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:১৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে বসবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলে, সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা। পার্টির পক্ষ থেকে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি এই সংলাপে আমরা সম্মত। খুব শীঘ্রই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে এই সংলাপের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ আমি আপনাদের ও পুরো জাতিকে সারপ্রাইজ দেবো। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে একটি সুখবর জানাবো। এ খবরে রাজনীতির মাঠে শান্তির বাতাস বইবে বলে মনে করি।’
পরে তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন একটি চিঠি দিয়েছেন। আজ মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ও সভাপতি শেখ হাসিনা উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। অনির্ধারিত এ বৈঠকে আলোচনা শেষে সর্বসম্মতি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংলাপে বসবে। কারণ শেখ হাসিনার দরজা কারও জন্য বন্ধ থাকে না।’
এর আগে, রোববার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সংলাপে বসার জন্য চিঠি দেন গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে ড. কামাল হোসেন উল্লেখ করেন, ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের মূলশক্তিতে পরিণত করে- তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। নেতিবাচক রুগণ-রাজনীতি কীভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তাও আমাদের অজানা নয়। এ সঙ্কট থেকে উত্তরণ ঘটানো আজ আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবার অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সে লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।