ক্রাইমবার্তা রিপোট: নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে দলটি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর নিবন্ধন লাভ করে। ২০০৯ সালে তরিকত ফেডারেশনের দায়ের করা এক রিট মামলার পর শুনানির জন্য হাইকোর্টের ৩ জন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠিত হয়। ওইা বেঞ্চে শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিভক্ত রায় প্রদান করেন। প্রিজাইডিং জজ জামায়াতের নিবন্ধন বহাল রাখার পক্ষে ও অপর দু’জন বিচারপতি নিবন্ধনটি আইন সম্মত হয়নি মর্মে রায় প্রদান করেন। একইসাথে মামলাটির সাথে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত বিধায় বিচারপতিগণ আপীলের জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল (আপিল নং ১৩৯/২০১৩) দায়ের করা হয়। জামায়াতের নিবন্ধন মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে, এ অবস্থায় মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারির কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন কমিশনের এ প্রজ্ঞাপন জারি উচ্চ আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের শামিল। আমরা নির্বাচন কমিশনের এ ভূমিকায় বিস্মিত। তিনি প্রজ্ঞাপন জারির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।
মানুষ হত্যা করে কোনো আদর্শ নির্মূল করা যায় না
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসের নির্মম, নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক ঘটনা। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে সাংবিধানিক ও আইনের শাসনের পরিবর্তে দেশকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতেই লগি-বৈঠা দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। ঢাকার রাজপথে সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে দানবীয় উল্লাসে মেতে ওঠে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় মানুষ হত্যা করে কোনো আদর্শ নির্মূল করা সম্ভব হয়নি, তেমনি জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আদর্শকেও নির্মূল করা সম্ভব নয়। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না বরং শাহাদতের পথ ধরেই এ দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ডেমরা দক্ষিণ থানার উদ্যোগে গতকাল অসহায় ও এতিম শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শূরা সদস্য ও ডেমরা দক্ষিণ থানা আমির এন এইচ নাঈমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ হেলাল, আলী জাফর প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।