* বখাটে মেহেদী হাসান ও তার মাকে আসামী করে মামলা
স্টাফ রিপোটার :
সাতক্ষীরায় বখাটের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্কুল ছাত্রী আসফিয়া খাতুন চাঁদনীর আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিবাদে এবং আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (নিহত চাঁদনী যে স্কুলে লেখাপড়া করতেন ) শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। মানববন্ধনে এ সময় তাদের দাবীর সাথে একাতœতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান।
আলোচিত এই আত্মহত্যার ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার বখাটে মেহেদী হাসান ও তার মা মাসুমা খাতুনকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মানবন্ধনের সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল ও পুরিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান স্কুল ছাত্রী আসফিয়া খাতুন চাঁদনী আতœহত্যায় প্ররোচনারকারীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেন। তারা বলেন, ইতিমধ্যে এ ঘটনার প্রধান আসামী বখাটে যুবক সাতক্ষীরা শহরের বাগানবাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল আতœহননকারী স্কুল ছাত্রী আসফিয়া খাতুনের চাঁদনীর মা জোহরা খাতুনের পূর্নবাসনের দায়িত্ব নেবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, সহকারী প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম, শিক্ষক আব্দুল মালেকসহ শিক্ষার্থীরা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার রাতে নিহত চাঁদনীর মা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দেয়। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বখাটে মেহেদী হাসান ও তার মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বখাটে মেহেদী হাসানকে ইতমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেহেদীর মাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
——————————————-
চাঁদনীর মা জোহরা খাতুন যা বললেন———-
——————————————–
চাঁদনীর মা জোহরা খাতুন জানান, প্রতিদিনই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান। আগের রাতে এসিড মারার হুমকি দিয়েছিল। সোমবার সকালে সে প্রাইভেট পড়ে আসার সময় আবারও তাকে ধাওয়া করেছিল মেহেদি। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি মেয়েটি স্কুলে যাওয়াও এক রকম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এবার সে আর প্রতিবাদ নয়, তাড়া খেয়ে সরাসরি ঘরে যেয়ে সবার অজান্তে আড়ায় গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এ ঘটনায় তার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জেলার বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা কালো ব্যাজ ধারন করেছে।