এই সরকারের সন্ত্রাসীরা আমার বদনাটাও চুরি করে নিয়েছিল : কাদের সিদ্দিকী

ক্রাইমবার্তা রিপোট:

দেশে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে একটি সার্বিক ঐক্য চেয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তবে তার বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান কি হবে তা তিনি জানাতে সকলকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।  বুধবার মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

বঙ্গবীর জানান, আগামী ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দেশে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। সে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সংবিধান প্রণেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঐদিনের আলোচনা সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীকে আমন্ত্রন জানাবেনও বলে জানান তিনি। এবিসয় উল্লেখ করে তিনি জানান কেন ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্টে যোগ দেননি।

তিনি বলেন, জাতীর সার্বিক ঐক্যে বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন না থাকায় তিনি (ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্টে) কোন অংশে যোগ দেননি বা নেই বলে জানান। তবে ৩ নভেম্বরের সে আলোচনা সভায় তার রাজনৈতিক অবস্থা জানাবেন বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি জানান আজ বুধবার রাতে তিনি তার মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে ড. কামাল হোসেনকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম তার সাথে দেখা করেছেন। অপরদিকে গত সোমবার তিনি নিজে বি চৌধুরীর বাসায় তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। এসব বিষয়গুলি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলিই রাজনৈতিক’। এবং দেশে প্রতিদিনই রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংলাপের উদ্যোগকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসাবে অভিহিত করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, সংলাপের মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেই নিতে পেরেছেন। তিনি জানান এ সংলাপের জন্য ফুটপাতে ৬৪ দিন কাটাতে হয়েছে। ৩০৮ দিন আমি ঘরের বাইওে থাকতে হয়েছে। তিনি বলেন, ফুটপাতে যখন ছিলাম তখন এই সরকারেরই সন্ত্রাসীরা টয়লেটে ব্যবহার করার জন্য আমার বদনাটাও চুরি করে নিয়েছে।

রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনীতি করতে হলে চাড়াল-মুচি তাদের সাথেও আলোচনায় বসতে হয়। যাদের কাছ থেকে আজকে পোড়াগন্ধ আসছে তার সাথেও আলোচনা করতে হয় এবং শেখ হাসিনা সেই কাজটিই করে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

বঙ্গবীর বলেন, দেশে একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সমাজ চাই, আজকে শ্রমিকের মুখে কালি মাখা হলো। তবে এই কালি শ্রমিকের মুখে মাখেনি এটা আসলে দেশ ও জাতির মুখে মেখেছে। তিনি বলেন, প্রতি মুহুর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। সংলাপ ডাকার আগে দেশে অস্থিরতা ছিল। এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। এই উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম তারেক।

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।