তরিকুল ইসলাম তারেক, যশোর:যশোরের মনিরামপুরের খাদ্য বিভাগের কর্মকতাদের জন্য সরকার নির্ধারিত কোয়ার্টার ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলএসডির ইনর্চাজ মুঞ্জুরুল ইসলামের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারটিতে বসবাস করছে বহিরাগতরা। এতে এলএসডির খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে রয়েছে। অথচ এব্যাপারে নিশ্চুপ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টসুত্রে জানা গেছে, খাদ্য গুদাম এলাকায় সর্বসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ। “বিনা অনুমতিতে প্রবেশকারীর তিন বছর পর্যন্ত জেল”-এমন শাস্তির বিধান রেখে সরকার আইন প্রনয়ন করেছেন। এই স্থাপনায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্ধারিত আবাসন ব্যবস্থা সরকার নিশ্চিত করেছে। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা কোয়াটার রয়েছে। ‘এ্যায়ারমার্কড’ এই বাসা বহিরাগতদের বসবাস যেমন নিষিদ্ধ অপরপক্ষে ভাড়া দেওয়া গুরুতর অপরাধ। খাদ্য গুদামের নিরাপত্তার স্বার্থে বহিরাগতদের সেখানে প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু স্পর্শকাতর মণিরামপুরের এলএসডি’র কোয়ার্টার দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া দিয়ে রেখেছে খাদ্য গুদাম ইনর্চাজ মঞ্জুরুল ইসলাম।
সুত্র বলছে, সরকারি সম্পদের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য গুদাম কর্মকর্তাকে বাধ্যতামুলক সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থানের জন্য নাম মাত্র ভাড়ায় বসবাসের জন্য কোয়াটার নির্মাণ করা হয়েছে। বলা হয়ে থাকে গুদাম কর্মকর্তা সবচেয়ে বড় পাহারাদার। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি ক্যাম্পাসে বসবাস করেন তাহলে ছিঁচকে চুরিসহ অনেক বড় দূর্ঘটনা থেকে সরকারি সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব। খাদ্য মন্ত্রণালয় ওসিএলএসডিদের বাধ্যতামুলক গুদামে অবস্থানের জন্য আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মনিরামপুরে সরকারি গুদামের ওসিএলএসডি কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে নিজ বাড়িতে থাকেন। ফলে গুদামের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বর্তমানে চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে মনিরামপুর সরকারি গুদামের ওসিএলএসডি তার জন্য নির্ধারিত কোয়াটারে বসবাস করেন না। বাসাটি একজন মহিলাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মহিলা ২ মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। মহিলার স্বামী সেখানে থাকে না। এক মেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরে চাকুরি করে,অন্য মেয়েটি পড়াশুনা করছে। ওই মহিলা কোয়ার্টারটি ইনর্চাজের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন বলে জানান।
সুত্র বলছে, কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে অনৈতিক অর্থ উপাজন ছাড়াও মণিরামপুরের ফুড গোডাউনের ইনর্চাজ মুঞ্জুরুল ইসলাম বিভিন্ন খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের বদলীর তদবীরসহ নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ব্যস্ত আছি বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলার জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।#
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …