ড. কামালের বিশেষ পছন্দের খাবার চিজ কেকসহ ১৭ ধরনের খাবার দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আপ্যায়ন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ চিজ কেক আনা হচ্ছে হোটেল র্যাডিসন থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী-১ (এপিএস-১) এবং প্রটোকলের চৌকস কর্মকর্তারা এসব খাবার প্রস্তুতের তদারকি করছেন। খাবারের ব্যবস্থাপনায় থাকছে পর্যটন করপোরেশন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, খাবারের মেন্যুতে আরও থাকছে পিয়ারু সর্দারের মোরগ পোলাও, চিতল মাছের কোপ্তা, রুই মাছের দো-পেঁয়াজা, চিকেন ইরানি কাবাব, বাটার নান, মাটন রেজালা, বিফ শিক কাবাব, মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজের ফ্রেশ জুস, চিংড়ি ছাড়া টক-মিষ্টি স্বাদের কর্ন স্যুপ, চিংড়ি ছাড়া মিক্সড নুডলস, মিক্সড সবজি, সাদা ভাত, টক ও মিষ্টি উভয় ধরনের দই, মিক্সড সালাদ, কোক ক্যান এবং চা ও কফি।
সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেনকে সংলাপের চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ তার পছন্দের খাবার সম্পর্কে জানতে চান। তবে, ড. কামাল চিজ কেক ছাড়া বিশেষ কিছু বলেননি। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফোন করে আব্দুস সোবহানকে ড. কামালের পছন্দের খাবারের কথা জেনে আসতে বলেন।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নিতে গণভবনে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শরিকদের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সময় উপস্থিত থাকবে। আগে ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের কথা বলা হলেও পরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানককেও প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনের নিচতলার কনফারেন্স রুমে এ সংলাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বিকল্পধারা এবং জাতীয় পার্টির আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকেও সংলাপে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিকল্পধারার সংলাপ হবে ২ নভেম্বর এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংলাপ হবে ৫ নভেম্বর।