ক্রাইমবার্তা রিপোর্টঃ ২০১৮বিপিএলে সিলেট সিক্সার্স দলে নিয়েছে ইংল্যান্ডের তরুণ পেসার প্যাট ব্রাউনকে। নামটি এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অপরিচিত। তাইতো প্রথমবারের মতো কোন বিদেশী লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে যার পর নাই আনন্দিত ব্রাউন। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগেই বিদেশী ফ্রাঞ্চাইজি লিগে ডাক পাওয়া তো অবাক করার মতোই ঘটনা।
কিন্তু বিপিএলে ডাক পাওয়ার পর প্যাট ব্রাউনের সামনে হাজির হয়েছে নতুন এক সমস্যা। এই তরুণ সমস্যায় পড়েছেন তার ক্লাস আর পরীক্ষা নিয়ে। পেশাদার ক্রিকেটের আঙিনায় পা রাখলেও এখনো পড়াশোনাটা চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ ব্রিটিশ। স্কুলের গন্ডি পার হয়ে পড়ছেন উরসস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগে।
ইএসপিএনকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ব্রাউন স্বীকার করলেন, এত দ্রুত বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পাবেন সেটা আশা করেননি, ‘আমি সব টুর্নামেন্টের নিলামের দিনক্ষণ লিখে রেখেছিলাম, শুধু বিপিএলেরটা ছাড়া! রোববার সকালে আমার এজেন্টের ফোনেই জানতে পারলাম, সিলেট আমাকে দলে নিয়েছে। আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। এরকম একটা লিগে খেলতে যাব, এটা ভেবে সত্যিই উচ্ছ্বসিত।’
কিন্তু বিপিএলের ওই সময়ই চলবে তার বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস, আছে পরীক্ষায়ও। কী করবেন ব্রাউন? প্রথমবারের মতো বিদেশী লিগে খেলার সুযোগটা মিস করতে চাইছেন না এই উঠতি ক্রিকেটার। বলছেন, ‘আসলে আমি জানি না কী করবো! বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করতে হবে এই ব্যাপারে। আমি দেশ ছাড়ার আগে সব গুছিয়ে যেতে চাই। চেষ্টা করব সেভাবেই সব ঠিক করার। যত যাই হোক, এই সুযোগটা আমি ছাড়ছি না!’
ব্রাউন চাইছেন এই আসর দিয়েই ক্যারিয়াারে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেতে। তবে একাদশে মাত্র ৪ জন বিদেশী খেলতে পারবেন সেটি চিন্তার বিষয় তার জন্য। দলটিতে তার সতীর্থ হিসেবে থাকবেন ডেভিড ওয়ার্নার, সোহেল তানভীর, মোহাম্মদ ইরফান, আন্দ্রে ফ্লেচারদের মতো অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার। তাই নিয়মিত সুযোগ পাওয়া নিয়েও সংশয় থাকছে ব্রাউনের। তিনি নিজেও জানেন সেটা। বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে এই টুর্নামেন্ট হবে। আশা করি কয়েক ম্যাচের জন্য হলেও আমি খেলার সুযোগ পাব। এটাই আসলে পেশাদার ক্রিকেট। সুযোগ এলেই সেটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। বিপিএলে ভালো খেললে আইপিএল, পিএসএলে খেলার পথ সুগম হবে।’
আর সুযোগ না পেলেও মন খারাপ করতে চাইছেন না ব্রাউন । তার আশা অভিজ্ঞতা অর্জন, ওয়াকার ইউনুসের মতো কোচের অধীনে এক-দেড় মাস থাকবেন তাই তো তার মতো উঠতি পেসারের জন্য বিরাট ব্যাপার। বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সুবিধা হচ্ছে, এখানে হারানোর কিছুই নেই। যদি আপনি পুরোটা সময় দলের জন্য পানি বহনও করেন, তাও সেটা কাজে দেবে। পুরো বিশ্ব থেকে ক্রিকেটাররা আসবে খেলতে, তাদের সাথে লম্বা একটা সময় কাটানো যাবে। টুর্নামেন্ট শেষে যখন ইংল্যান্ডে ফিরব, তখন সেই অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক এগিয়ে রাখবে।’
বয়স ২০ ছুঁয়েছে দুই মাস আগে। উরসস্টারশায়ারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচও খেলেছেন ৫টি, তবে খুব আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি ডান হাতি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে। তবে কিছুদিন আগেই হয়ে যাওয়া ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তার ৩১ উইকেটের সুবাদেই চ্যাম্পিয়ন হয় উরসস্টারশায়ার। ব্রাউনের নামটাও ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে, ক্লাব অধিনায়ক মঈন আলি তো তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার সুযোগ আসতে পারে, এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল।