তরিকুল ইসলাম:সরকারি এম এম কলেজ:কাবাডি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা।বর্তমান আধুনিকতার যুগে এসে আজ বাঙালি জাতি হারিয়ে ফেলছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী জাতীয় খেলা কাবাডি।মাঝেমধ্যে গ্রাম্যঞ্চলে তরুণ যুবকদের খেলতে দেখা যায়।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই খেলাকে বিভিন্ন নাম দিয়ে খেলে থাকেন।বাংলাদেশে এই খেলা হা-ডু-ডু নামে পরিচিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে খেলা হয়ে থাকে।বাংলাদেশের ফরিদপুরে কাবাডি খেলার প্রথম সূচনা হয় বলে জানা যায়।গ্রাম্যঞ্চলে আধুনিক খেলাধুলা প্রসারের পূর্বে হা-ডু-ডু ছিল চিত্তবিনোদনের অন্যতম উৎস।কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়।ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯ শতাব্দীতে কাবাডি খেলা হুটুটু,ছেড়গুড়,বা ডুডুডু ইত্যাদি নামে প্রায় সর্বত্র খেলা হতো।শ্রীলংকায় গুডু,বাংলাদেশে হা-ডু-ডু, থাইল্যান্ডে যিকুব,পাকিস্তানে হা-ডু-ডু,ভারতে কাবাডি নামে খেলা হতো।ভারতীয় উপমহাদেশে কাবাডি উৎপত্তি হলেও সঠিকভাবে কার মাধ্যমে কোন জায়গায় এর প্রচলন হয়েছে তা জানা জায়না।১৯৫০ সালে ভারতীয় জাতীয় কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। এরপর থেকে কাবাডি খেলার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে।১৯৫৩ সালে কাবাডি খেলার আইন কানুন প্রণীত ও ১৯৬০ এবং ১৯৬৬ সালে কাবাডি খেলার আইন সংশোধিত হয়।১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের দুইজন কর্মকর্তা বাংলার আসানসোলে ভারতীয় জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা দেখতে যান।তারা দেশে ফিরে কাবাডি ফেডারেশন গঠন করেন।১৯৭৪ সালে এশিয়ান এ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কাবাডি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।এই খেলায় প্রতিদলে ১২ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়।কিন্তু প্রতিদলের ৭ জন খেলোয়াড় একসাথে মাঠে নামে। বাকি ৫ জন খেলোয়াড় অতিরিক্ত হিসাবে থাকে।খেলা চলাকালীন সর্বাধিক ৩ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যাবে।৫ মিনিট বিরতি সহ দুই অর্ধে পুরুষদের ২৫ মিনিট করে আর মেয়েদের ২০ মিনিট করে খেলা হয়।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …