গত ১ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঠাকুরগাঁও জেলা আমির মাওলানা আবদুল হাকিম, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা আব্দুর রহীম, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন সভাপতি খায়রুল ইসলাম বাশার জুয়েল, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সরকার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার যে ষড়যন্ত্র করছে তারই অংশ হিসেবে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের অব্যাহতভাবে গ্রেফতার করছে। এ থেকেই জাতির সামনে স্পষ্ট, সরকার সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আদৌ চায় না। বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ভোটারবিহীন একতরফা ব্যালট ডাকাতির নির্বাচনের প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করার জন্যই সরকার সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠাচ্ছে। সরকার গোটা দেশকেই একটি জেলখানা বানিয়ে ফেলেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ তীব্র গণ-আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এ সত্য সবাইকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। তিনি মাওলানা আবদুল হাকিমসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
সঙ্কট উত্তরণে গণ-আন্দোলনের বিকল্প নেই
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য সংলাপের মাধ্যমে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল তা সরকারের সদিচ্ছার অভাবে যথাযথ কাজে লাগানোর পরিবর্তে উল্টো সময়ক্ষেপণ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী কোনো সংলাপের মাধ্যমে অতীতে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই সঙ্কট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
গতকাল রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগীর বাড্ডা থানা পূর্ব শাখা আয়োজিত প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। থানা আমির মো: কুতুবউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা। আরো উপস্থিত ছিলেনÑ থানা সেক্রেটারি মুনজের আলী, জামায়াত নেতা কে এ মিজান, আরাফাত হোসাইন, মাসুদুর রহমান রানা ও মাওলানা সোলাইমান এবং বাড্ডা উত্তর শিবির সভাপতি সালাহউদ্দীন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।