নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মৃত্যু ব্যক্তির নামে গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর এসআই সুবির ঘোষ বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোজাম্মেল হক (৫০) কে ২৬/১৮ নং মামলা ২৫ নং এজাহার নামীয় আসামী করা হয়েছে। । তিনি সানাবাড়িয়া দক্ষিণ গ্রামের আঃ মোতালেব মোল্লার ছেলে। ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারী তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর প্রায় ৫ বছর পর কলারোয়া থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় তিনি কিভাবে এজহার নামীয় আসামী হল তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ মামলায় পুলিশের অভিযোগ কলারোয়ায় মোজাম্মেল হক পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে গেছে। গত ৩১ অক্টোবর পুলিশের এসআই সুবির কুমার ঘোষ দায়েরকৃত কলারোয়া থানায় মামলা নং ২৬ এ এই তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত্যু মোতালেব মোল্লার পুত্র মোজাম্মেল হক ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারী মৃত্যু বরণ করেন। বাজার সন্নিকটে রাস্তার ধারে বাড়ি হওয়ার কারণে মোজাম্মেল হকের মারা যাওয়ার বিষয়টি এলাকার সকলে জ্ঞাত। মৃত্যুর পরে তার ওয়ারেশরা জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনে ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেট নিয়েছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৬ সালের ৫’এপ্রিল সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গৃহীত ওয়ারেশ-কাম সনদ স্মারক নং-এম/ই/প ১৬৬/১৬ দেখায়ে মৃত মোজাম্মেল হকের পরিবার বলেন, মৃতের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা নজীর বিহীন। কিন্তু গত ৩১ কলারোয়া থানায় দায়েরকৃত মামলায় এসআই সুবির ঘোষ দাবি করেছে ৩০ অক্টোবর রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে কলারোয়া বাসষ্টান্ডে অবস্থান কালে গোপন সংবাদ পান রামকৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় উগ্রপন্থি জামায়াত/বিএনপি’র নেতাকর্মী নাশকতা ঘটানোর জন্য গোপন বৈঠক করছিল। এরপর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাত আনুঃ ৯:৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলের সন্নিকটে পৌছায়। আর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গোপন বৈঠকরত জামায়াত/বিএনপি’র উগ্রপন্থী নেতাকর্মীরা কয়েকটি ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটায়ে পালায়ন কালে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় এজাহার নামীয় ১নং হতে ১২নং আসামীকে গ্রেফতার এবং এজাহার নামীয় অপর আসামী সহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন পালায়ে যায়। এজাহার নামীয় আসামীদের নামের তালিকার ২৫নং মোজাম্মেল হক (৫০) পিতা মৃত আঃ মোতালেব মোল্লা : গ্রাম-সোনাবাড়িয়া (দক্ষিণ), উপজেলা/থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরার নাম রয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ বলাবলি করছে, তাহলে মৃত মোজাম্মেল হক আলৌকিক ভাবে কবর থেকে উঠে এসে গোপন বৈঠকে যোগদান করে পুলিশ দেখে ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়ে পালায়ে গেছে। মৃত্যু ব্যক্তি মামলায় কি ভাবে এজহার নামীয় হতে পারে তা নিয়ে পুলিশের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …