বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘আগামী ৭ তারিখে প্রধানমন্ত্রী আবারও সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্টকে ডেকেছেন। এরপরে কোনও ষড়যন্ত্র করা হলে বাংলার রাস্তায় ষড়যন্ত্রকারীদের বের হতে দেওয়া হবে না। ৫ জানুয়ারির মতো এবারের নির্বাচন হবে না। ওই নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করে নাই। আগামী নির্বাচনে বিনাভোটে নির্বাচন করার পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল ৩০০টি আসনে একাধিক বিকল্প প্রার্থী দেবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।’
আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের বিরল সরকারি পাইলট স্কুল মাঠে এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বিরল পৌরসভার মেয়র সবুজ সিদ্দিকী সাগর, সহ-সভাপতি অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম, সারওয়ারুল ইসলাম বাবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।
এ সময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তফসিল ঘোষণা না হলে বাংলাদেশের নির্বাচন থেমে যাবে। আর নির্বাচন থেমে গেলে উন্নয়নের সোপান থেমে যাবে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান নিন। নির্বাচন থামানোর অপচেষ্টা করা হলে বাংলার মানুষ তাদের দাতভাঙা জবাব দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। আগামী নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাংলাদেশে রক্ষার নির্বাচন। আগামী নির্বাচন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার নির্বাচন। আগামী নির্বাচন গণতন্ত্র সুসংহত করার নির্বাচন। বর্তমানে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যার মূল নায়ক ড. কামাল। বাংলাদেশের নির্বাচনকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। যাতে করে অনির্বাচিত সরকার দেশের ক্ষমতা দখল করতে পারে তিনি সেই পাঁয়তারা করছেন। এই ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে। প্রথমে সংলাপ ভালো হয়েছে বললেও এখন ভেস্তে যাওয়ার কথা বলছেন। ড. কামাল হোসেন এখন এতিমের টাকা চুরির দায়ে আটক খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি তুলেছেন। খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশের সব কারাগার থেকে চোর-ডাকাতদের ছেড়ে দিতে হবে।’