ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃসিংহের তাড়া খাওয়ার পর বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল অসংখ্য বুনো মহিষ। কিন্তু নদীতে একের পর এক মোষ ঝাঁপ দিতে থাকায় অন্তত ৪০০ মহিষের মৃত্যু হয়েছে।
গত সপ্তাহে বৎসোয়ানার নামিবিয়া সীমান্তঘেঁষা একটি নদীতে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। বৎসোয়ানার সরকারের তরফে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এই প্রথম একসঙ্গে এত মহিষের মৃত্যুর হলো। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশে রয়েছে দীর্ঘ পশুচারণ ভূমি। যা সিংহ, হায়না, চিতাবাঘ, সাপ সহ অন্যান্য প্রাণীদের অবাদ বিচরণভূমি হিসেবে পরিচিত। এক দেশ থেকে অন্য দেশের সীমান্ত পেরোতে তাদের লাগে না কোনো পাসপোর্ট-ভিসা।
গত মঙ্গলবার রাতে এমনই একটি মহিষের পালকে তাড়া করে গোটা তিনেক সিংহ। তাড়া খেয়ে মহিষের দলটি স্থানীয় চোবি নদীর তীরে জড়ো হয়। আর তখনই ঘটে যায় বিপর্যয়। সিংয়ের দল তাড়া করলে মহিষের পাল একসঙ্গে নদীতে ঝাঁপ মারে। লক্ষ্য তখন একটাই যেভাবে হোক সাঁতারে ওপারে উঠে প্রাণ বাঁচাতে হবে। তাই একপ্রকার দিকশূন্য হয়েই খরস্রোতা নদীতে লাফিয়ে তারা।
ঝাঁপ দিতে গিয়ে একটার ঘাড়ে অন্যটি উঠে পড়ে। তখনই পড়ে এই ঘটনাটি ঘটে। এরপর নদীতে ডুবেই মৃত্যু হয় অন্তত ৪০০ মহিষের। বৎসোয়ানার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বহু দূর থেকে মহিষের দলটিকে তাড়া করে নদীর তীরে নিয়ে আসে সিংহগুলো। তিন দিক থেকে মহিষের দলটিকে তারা ঘিরে ধরে। তাদের কাছে তখন নদীতে ঝাঁপ দেয়া ছাড়া অন্য পথ খোলা ছিল না। কিন্তু নদীতেও যে শিকার ধরার আশায় হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছে কুমির। তা আন্দাজ করেও নদীতে লাফিয়ে পড়ে মহিষের দলটি।
নামিবিয়ার পরিবেশমন্ত্রী পোহাম্বা সিফেতা বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে প্রকৃতির নিয়মে এমনটা ঘটতেই পারে। তিনি বলেন, অন্তত এক হাজার মহিষ ওই রাতে সিংহের তাড়া খেয়ে নদী পেরোতে যাচ্ছিল। তখনই পদপিষ্ট হয়ে তারা ডুবে যায়। এদিকে নদী থেকে মৃত মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মাংস স্থানীয় জনজাতির মধ্যে বিরতণ করা হয়েছে।