ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন একাদশ জাতীয় সংসদের তফসিলকেই গ্রহন করছেন না; তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ওই জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এ অভিযোগ করেন কাদের।
কয়েক মাস ধরেই শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার রোগমুক্তি কামনায় শুক্রবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় মিলাদ মাহফিলের। উপস্থিত সবাই সৈয়দ আশরাফের রোগমুক্তি কামনায় দেশবাসীর দোয়া চান। এ সময় রাখা ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে উঠে আসে সাম্প্রতিক রাজনীতি প্রসঙ্গ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্ট কিভাবে সভা করল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। সেটাই বিরাট একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন। এটা তারা পারে না। এটা নির্বাচনী যে আচরণবিধি এবং আইন এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তারা যতই দিন যাচ্ছে ততই কিন্তু ইলেকশনমুখী জনগণ আন্দোলনবিমুখ হয়ে পড়ছে। এবং তাদের সেই ভাঙা হাট, আন্দোলনের ভাঙা হাট জমছে না। এটাই সর্বশেষ রাজশাহী সভা থেকে প্রমাণ হয়ে গেছে।’
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর সোমবার। মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। ২৩ ডিসেম্বর রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরপরই আগামী সাত দিনের মধ্যে জেলা, উপজেলা এবং সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় যেখানে পোস্টার, ব্যানার, গেট, তোরণ ও আলোকসজ্জা আছে, সেগুলো অপসারণ করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এবং পৌরসভার মেয়রদের আমরা অপসারণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। আগামী সাত দিনের মধ্য যাঁরা এগুলো উত্তোলন করেছেন, তারা স্বউদ্যেগে এগুলো নামিয়ে ফেলবেন। আর তা যদি নামিয়ে অথবা ভেঙে না ফেলেন, তবে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ের তারা দণ্ডিত হবেন এবং আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তফসিল ঘোষণার পর শুক্রবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজশাহীতে জনসভা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা