ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ২৩শে ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন। তাদের কাছে গিয়ে আমরা বলেছি যে আমরা কথা বলতে চাই। আমাদের সমস্যা আছে। এগুলোর সমাধান হবে তার পর নির্বাচনে যাব। কিন্তু তিনি তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করে দিলেন। শুক্রবার রাজশাহীর আলিয়া মাদরাসা মাঠে ঐক্যফ্রন্টের জনসমাবেশে এ কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, আমি এয়ারপোর্ট থেকে নেমে এই পর্যন্ত আসতে ২ বার গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমি একেবারে অপরিচিত নই। আমার গাড়ি কেন আটকাবে? তারা ভেবেছে সবাইকে বাধা দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে।
তাহলে তাদের এই আসার গুড়ে বালি।
আমি খুব স্পষ্ট বলতে চাই। মিথ্যে কথা বলবেন না। এক বনে দুই রাজা থাকতে পারেনা। তেমনি এক দেশে দুই সংসদও থাকতে পারে না। আপনিও প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন না। পদত্যাগ করুন। নির্বাচন দিন। পদত্যাগ না করে ক্ষমতার ডান্ডা নিয়ে আমাদের পিঠে চড়বেন তা হতে পারে না।
মান্না বলেন, ক্ষমতায় থেকে যদি শেখ হাসিনা মনে করেন, এক মাঘে শীত কেটে যায়। ভুল করছেন। শীত বার বার আসে। মাঘও বারবার আসে। এক শীত খালেদা জিয়া কাটাবেন তো মনে রাখবেন আপনাকে কারাগারে ১০ শীত কাটাতে হবে।
- ০৯ নভেম্বর ২০১৮
রাজশাহীর কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা মাঠে চলছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতারা একে একে বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা চান ঐক্যফ্রন্টের কাছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখনও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তেরী হয়নি। তার মধ্যেই বিরোধীদের দাবি উপেক্ষা করে সরকারি দলের ইচ্ছেতে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা আজীবন প্রধানমন্ত্রী আর বেগম খালেদা জিয়া আজীবন কারাবন্দি থাকবেন।
জনসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ছাড়া অন্যান্য শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়েছেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে তারেক রহমানকে আজীবন নির্বাসিত থাকতে হবে। এই মঞ্চে যারা আছেন তাদের সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহার মত হাতে কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে। এখন গণতন্ত্র নেই দেশে। এই গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।
গয়েশ্বর বলেন, বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে না। গণতন্ত্র উদ্ধারের যুদ্ধে দলমত র্নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে জনসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত-উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর এ্যানি, নির্বাহী সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।