ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোটঃ রাজশাহী শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট জড়ো হচ্ছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। মাদ্রাসায় জেডিসি পরীক্ষা চলায় এখনই জনসভাস্থলে যেতে পারছেন না নেতাকর্মীরা। তবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রাজশাহীর আশপাশের জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। পরীক্ষা শেষ হলে তারা মিছিল নিয়ে যোগ দেবেন জনসভায়। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে রাজশাহী অভিমুখে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সমাবেশে যোগ দিতে বিকল্প পথে বেছে নিয়েছেন লোকজন। নৌকা, ট্রেন বা ছোট ছোট যানবাহন ব্যবহার করে আসছেন অনেকে।
পদ্মার পাড়, চিড়িয়াখানা, ঈদগাহ মাঠ, রেল স্টেশন, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট খন্ড খন্ড আকারে নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা গেছে। রাজশাহী ও আশপাশের জেলায় পরিবহন বন্ধ থাকায় নেতাকর্মীদের আসতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
তবে সব প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে ট্রেন, মাইক্রো এবং নৌকা যোগে চলে এসেছেন রাজশাহীতে। অনেকে দুই তিনদিন আগেই সমাবেশে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে শহরে এসে অবস্থান করছেন।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহী বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। রাজশাহী বিএনপি নেতা ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু জানান, রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের গণআন্দোলনের আহ্বান আসবে।
পাবনার ইশ্বরদী থানা বিএনপির সহ সভাপতি আতিয়ার রহমান মানবজমিনকে বলেন, আমাদের এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ট্রেন ছাড়া কোন পরিবহন চলছে না। আমরা ভোরের ট্রেনে চলে এসেছি।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার মানবজমিনকে বলেন, গাড়ি না পেয়ে পাবনা থেকে মাইক্রোতে এসেছি। পথে পথে বিভিন্ন জায়গায় ঠেকানো হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে রোডমার্চ করার কথা ছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। পরবর্তীতে রোডমার্চ স্থগিত করে জনসভা করবে বলে জানায়।
সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার বন্ধ করা, নির্বাচনে ম্যাজিট্রেসি পাওয়ার দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ৭ দফা দাবিতে ঐক্যফ্রন্টের এ সমাবেশ।
নতুন এ রাজনৈতিক জোট আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভাগীয় শহরগুলোতে জনসভা করছে। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকার পর চতুর্থ জনসভাটি হচ্ছে আজ রাজশাহীতে। দুপুর ২টায় রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এই সমাবেশ শুরু হবে।
দুপুর ২টা থেকে ৫টার মধ্যে জনসভা শেষ করতে হবে, মিছিল নিয়ে সভায় যোগ দেয়া যাবে না, মাঠের বাইরে মাইক দেয়া যাবে না, বিশৃঙ্খলা হয় এমন কিছু করা যাবে না, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেয়া যাবে না প্রভৃতি ১২ টি শর্তে জনসভার অনুমতি পেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
সমাবেশে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসপির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে জানা গেছে ড. কামাল হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি নাও আসতে পারেন।