বেগম জিয়ার মুক্তি চাই। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে পরিত্যক্ত জেলখানায় রেখে নির্বাচন হতে পারে না। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করবেন, অন্যজন জেলখানায় থাকবেন, এটা হতে পারে না।’ শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচন বয়কট-টয়কট কিছু আমরা করব না। একথা আমরা কেউ বলবও না। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে কোর্টে মামলা হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ কোর্টে বলেছিল— এটা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার নির্বাচন, দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দেয়া হবে।’
ড. কামাল বলেন, ‘তখন কোর্ট আমাকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে ডেকেছিলেন। কোর্ট আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন ওই নির্বাচন নিয়ে। তখন বলেছিলাম, এক কথায় বললে তো বলা যায়, এটা কোনো নির্বাচন না। কিন্তু, তারা যখন বলছে পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন করেছে, দ্রুত আরেকটি নির্বাচন করবে। তাই সুযোগ দেয়া উচিত।’
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘এখন কথা হচ্ছে, দ্রুত নির্বাচন মানে কি ৫ বছর? এটা কি বাংলা অভিধানে নতুন করে যুক্ত হওয়া শব্দ। অল্প মানে ৫ বছর। ভাওতাবাজির সীমা থাকা উচিত। ভাওতাবাজিতে তাদের গোল্ড মেডেল দেয়া উচিত। আমরা এখন ভাওতাবাজি থেকে মুক্তি পেতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘এবার আর নির্বাচন বয়কট-টয়কট হবে না। একবার বয়কট করাই জাতি অনেক ভোগান্তি পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলাম, অন্যায় গণগ্রেফতারের কথা বললাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন, কাল থেকে আর গ্রেফতার হবে না। কিন্তু, এখনও এই গণগ্রেফতার থামেনি।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রধান এই নেতা আরও বলেন, হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম করছে নির্বাচন কমিশন। খেয়াল-খুশি মতো বাস্তবায়ন করছে সরকার। ইভিএম করতে চাইলে সকলের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে। তা ছাড়া এটা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।’
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।