নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ও নিলক্ষায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়। এ ব্যাপারে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ বাদি হয়ে রায়পুরা থানায় অস্ত্র আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেছে। তবে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পক্ষে কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি। লাশ দাফন করার পর মামলা হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। এদিকে এই ঘটনায় ৩ জন নিহতের খবর নিশ্চিত হয়েছে বলে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানিয়েছেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, ৪ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরে দু’পক্ষের দুই নেতা সাহেদ সরকার ও সিরাজুল চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর বেশ কিছু দিন এই বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে হঠাৎ সাহেদ সরকারের সমর্থকরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ওই সময় প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল সমর্থকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে ভড়িয়ে পরে।এই সংঘর্ষ বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন ছড়িয়েও নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলটি চরাঞ্চলে হওয়ায় যাতায়েতের কোন ব্যবস্থা নেই। সেটি রিমোট এরিয়া। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ আছে বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়াও পুলিশ ব্যাপক অভিযোগ চালাচ্ছে। এরই মাঝে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রায়পুরা উপজেলার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের বাঁশগাড়ি ও নিলক্ষায় আওয়ামী লীগের দু‘ গ্রুপের সংঘর্ষে এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন।