ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আজ সোমবার দুপুরে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদিন তুহিন।
আবেদনে খালেদা জিয়ার সাজার ব্যাপারে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত ও বাতিল চাওয়া হয়। সেই সাথে খালেদা জিয়ার জামিনও চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
জানা যায়, ৩৫টি গ্রাউন্ডে এ আপিল আবেদনটি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন তা বেআইনি। এ মামলায় আসামিপক্ষকে শুনানির সুযোগ দেয়া হয়নি। অর্থের উৎসের তদন্তও সম্পন্ন হয়নি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আইনগতভাবে এতে বাধা নেই। তিনি এ সময় মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ বিচার শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদন (১৬৭৬/২০১৮) দাখিল করেন খালেদা জিয়া। এ আপিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের দেওয়া জরিমানার রায় স্থগিত করেন। পরবর্তীতে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চারমাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনে গত ১৬ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। তবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সময় বৃদ্ধির আবেদনে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।
এর পর গত ৩০ অক্টোবর এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িতে ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়াকে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। তখন থেকেই তিনি সেখানে অন্তরীণ আছেন।