ক্রাইমবার্তা রিপোর্টঃ জামায়াত নেতা আবু সাঈদের মনোনয়ন পত্র সংগ্র , অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন যশোর জেলা (পশ্চিম) জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন। চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাস্টার কামাল আহমেদ ও চৌগাছা পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ডের জামায়াত সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান তার পক্ষে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলমের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
যশোরের পদ্মবিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস আবু সাঈদ ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চার দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ১ লক্ষ ৩৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে সাবেক বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে প্রায় ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ১ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে অল্প ভোটের ব্যবধানে সাবেক আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের নিকট পরাজিত হন।
তিনি নির্বাচনী এলাকায় মুহদ্দিস আবু সাঈদ হিসেবেই ব্যাপক পরিচিত। নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের কাছে জনপ্রিয় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তিনি। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে অষ্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে তার খরচের বেঁচে যাওয়া টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরৎ দিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিলেন।
চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম মোর্শেদ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন মুহাদ্দিস আবু সাঈদ। তার সময়ে চৌগাছা-ঝিকরগাছার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রাস্থা-ঘাট, মসজিদ-মন্দির ছাড়াও তার সময়েই চৌগাছা ঝিকরগাছার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তার বিরুদ্ধে প্রায় একডজ নাশকতার মামলা দিয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে কারাগারে রাখে। এক এগারোর তত্বাবধায়ক সরকার থেকে শুরু করে মহাজোট এবং বর্তমান সরকারের সময়েও চিরুনী অভিযান চালিয়েও তার কোন দূর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেটি নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে তাকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে।