ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. শহিদুর রহমানকে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকার না করেই তাকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই কলেজের অধ্যক্ষ। এ সময় তিনি বলেন, তিনি শিক্ষকদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করেছেন। কলেজের জমি নিজ নামে রেজিস্ট্রি করেছেন। এখন তিনি কলেজ পরিপন্থী নানা কাজে লিপ্ত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় বাধার সৃষ্টি করছেন।
রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শহিদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান বলেন, ডা. শহিদুর রহমান কলেজে বিশৃংখলা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৭ নভেম্বর কয়েকজন সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে হামলা করেন। এ সময় তিনি তালা ভেঙ্গে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর করেন। তাদের হাতে ছিল রাম দা, লোহার শাবল, দা ও কুড়াল। তারা কলেজের কাগজপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন, উপাধ্যক্ষ দীপক কুমার মল্লিক ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের জমিদাতা প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. শহিদুর রহমান বলেন, শিক্ষক ফজলুর রহমান বিধি সম্মতভাবে অধ্যক্ষ হননি। তিনি কাগজপত্র জালিয়াতি ও তথ্য গোপন করে এই পদ দখল করেছেন। একইভাবে পরিচালনা পরিষদ যথাযথভাবে গঠিত না হওয়ায় এবং তার নিজের বোন জামাই আলতাফ হোসেনকে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি করার বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জমা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করে শিক্ষক ফজলুর রহমানের বেতনের টাকা সরকারি দফতরে ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেয়। এর আগে তাকে আচরণগত কারণে কলেজ থেকে বরখাস্ত করা হয় জানিয়ে ডা. শহিদুর রহমান বলেন, এসব বিষয় নিয়ে তিনি শনিবার স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে কলেজে যান। কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে কলেজের স্বঘোষিত অধ্যক্ষের উসকানিতে ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় একজনকে অবরুদ্ধ করে পরে পুলিশে সোপর্দ করে। ডা. শহিদুর রহমান বলেন, কথিত অধ্যক্ষ কলেজটিকে নানা কারণে গোল্লায় নিয়ে যেতে চাইছেন। তিনি এসবের বিরোধিতা করেছেন মাত্র। শিক্ষক ফজলুর রহমান একজন ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে তার প্রতিবন্ধী মেয়ে হত্যার অভিযোগও রয়েছে। এমন একটি লোককে কলেজের অধ্যক্ষ কিভাবে করা যায় বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …