ক্রাইমবার্তা রিপোটঃএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে এখন পর্যন্ত ৬৪টি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার দলটির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, দল ও জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোটবদ্ধ থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবে দলটি। শুধু প্রতীকের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেয়া হচ্ছে। শিগগিরই দলীয় সর্বোচ্চ ফোরামের বৈঠক হবে। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়রী পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২২২ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল।
জয়ী হয়েছিল ১৮ প্রার্থী। তবে জামায়াতের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রেক্ষাপট বদলেছে। সারাদেশে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করার মতো যোগ্য প্রার্থী আমাদের রয়েছে। তবে জাতীয় স্বার্থে এবার আমরা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে জোটগতভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনের অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জোটগতভাবে নির্বাচন করার কারণে আমরা ছাড়ও দিচ্ছি অধিকাংশ আসনেই। ৬০ আসনে জেতার সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা বিএনপিকে দেয়া হয়েছে। এবার এ নিয়ে আলোচনা হবে।
জামায়াত যেসব আসনে মনোনয়নপত্র তুলেছে সেগুলো হলো, ঠাকুরগাঁও-২ (মাওলানা আবদুল হাকিম), দিনাজপুর-১ (মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ), দিনাজপুর-৪ (মাওলানা আফতাব উদ্দিন মোল্লা), দিনাজপুর-৬ (মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম), নীলফামারী-১ (মাওলানা আবদুস সাত্তার), নীলফামারী-২ (মুক্তিযুদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু), নীলফামারী-৩ (মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম), লালমনিরহাট-১ (আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন সাজু), রংপুর-৫ (অধ্যাপক গোলাম রব্বানী), কুড়িগ্রাম-৪ (আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান), গাইবান্ধা-১ (মাজেদুর রহমান সরকার), গাইবান্ধা-২ (মাওলানা মো. আবদুল করিম), গাইবান্ধা-৩ (মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু), গাইবান্ধা-৪ (ডাক্তার আবদুর রহিম সরকার)। জয়পুরহাট-১ (ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ), বগুড়া-২ (অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান), বগুড়া-৪ (মাওলানা তায়েব আলী), বগুড়া-৫ (আলহাজ দবিবুর রহমান), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (ড. কেরামত আলী), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (অধ্যাপক ইয়াহিয়া খালেদ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (নুরুল ইসলাম বুলবুল), নওগাঁ-২ (মঈন উদ্দীন), নওগাঁ-৪ (খ ম আবদুর রাকিব), রাজশাহী-১ (অধ্যাপক মুজিবুর রহমান), রাজশাহী-৩ (অধ্যাপক মাজিদুর রহমান), নাটোর-১ (অধ্যাপক তাসনিম আলম), নাটোর-৪ (অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান), সিরাজগঞ্জ-৪ (মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান), সিরাজগঞ্জ-৫ (অধ্যক্ষ আলী আলম), পাবনা-১ (ডা. আবদুল বাসেত), পাবনা-৪ (অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল), পাবনা-৫ (মাওলানা ইকবাল হুসাইন)। মেহেরপুর-১ (মাওলানা তাজ উদ্দীন আহমদ), কুষ্টিয়া-২ (আলহাজ আবদুল গফুর), চুয়াডাঙ্গা-২ (মাওলানা রুহুল আমিন), ঝিনাইদহ-৩ (অধ্যাপক মতিয়ার রহমান), যশোর-১ (মাওলানা আজিজুর রহমান), যশোর-২ (আবু সাইদ মুহাম্মদ সাদাত হোসাইন), যশোর-৫ (অ্যাড. গাজী এনামুল হক), যশোর-৬ (অধ্যাপক মুক্তার আলী), বাগেরহাট-৩ (অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ), বাগেরহাট-৪ (অধ্যাপক আবদুল আলীম), খুলনা-৫ (অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার), খুলনা-৬ (মাওলানা আবুল কালাম আযাদ), সাতক্ষীরা-১ (অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ), সাতক্ষীরা-২ (মুহাদ্দিস আবদুল খালেক), সাতক্ষীরা-৩ (মুফতি রবিউল বাশার), সাতক্ষীরা-৪ (গাজী নজরুল ইসলাম), পটুয়াখালী-২ (ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ), পিরোজপুর-১ (আলহাজ শামীম সাঈদী), ময়মনসিংহ-৬ (অধ্যাপক জসিম উদ্দিন সরকার), ঢাকা-১৫ (ডা. শফিকুর রহমান), মৌলভীবাজার-১ (মাওলানা আমিনুল ইসলাম), সিলেট-৫ (মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী), সিলেট-৬ (মাওলানা হাবিবুর রহমান), কুমিল্লা-৯ (এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী), কুমিল্লা-১১ (ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের), ফেনী-৩ (ডা. ফখরুদ্দিন মানিক), লক্ষ্মীপুর-২ (মাস্টার রুহুল আমিন), লক্ষ্মীপুর-৩ (ডা. আনোয়ারুল আজীম), চট্টগ্রাম-১০ (আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী), চট্টগ্রাম-১৫ (আনম শামসুল ইসলাম), চট্টগ্রাম-১৬ (মাওলানা জহিরুল ইসলাম), কক্সবাজার-২ (হামিদুর রহমান আযাদ)। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, দল ও জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোটবদ্ধ থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবে দলটি। শুধু প্রতীকের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেয়া হচ্ছে। শিগগিরই দলীয় সর্বোচ্চ ফোরামের বৈঠক হবে। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়রী পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২২২ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। জয়ী হয়েছিল ১৮ প্রার্থী। তবে জামায়াতের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।