ক্রাইমবার্তা রিপোট: ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর নতুন কোন মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিএনপি গ্রেপ্তারকৃত কয়েক হাজার নেতাকর্মীর তালিকা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কারো বিরুদ্ধে ২০১২ কারো বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মামলা করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে সিইসি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য চাওয়া যাবে না বলে জানান। বলেন, নতুন করে মামলা-মোকদ্দমাও করা যাবে না। নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকনির্দেশনা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইসি।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেছেন, নির্বাচনে প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম থাকবে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে সিইসি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা আমরা বলিনি। এটা আপনারা করবেন না।
কারণ এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে। যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তারা বিব্রত হন। আমরা এটা চাই না। যদি তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয়, তাহলে কোনো ব্যক্তির তথ্য গোপন সূত্র ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারেন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করার দরকার নেই। এটা আমরা চাই না। কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করবেন না। মামলা করবেন না। কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার করা যাবে না। আশাকরি, আপনারা এটা করছেনও না। সিইসি আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা সব থেকে গুরত্বপূর্ণ। আপনাদের কারণে যেনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন। তিনি বলেন, এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সবদল অংশ নেবে। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। প্রজাতন্ত্রের সবাই মিলেই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কাজ করবো। নির্বাচনের সিংহভাগ দায়িত্ব পুলিশের থাকে। ভোটারের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব ধরণের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের ওপরই বেশি থাকবে। তবে, কমিশন আপনাদের কর্মকান্ড নজরদারি করবে। অলরেডি অভিযোগ আসা শুরু হয়েছে। তবে, নির্বিঘেœ দায়িত্ব পালন করবেন। ভালোভাবে যাচাই না করে আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এতে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আইন-শৃঙ্খলার বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য একমাত্র পুলিশের কাছেই আছে। তাই বিভিন্ন বাহিনী পুলিশের কাছ থেকেই পরামর্শ নেবে। পুলিশকে এখনই কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে বলেও জানান সিইসি। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম পুলিশের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতি জেলায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম। এদের নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। অন্যান্য বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তথ্যদিয়ে সহায়তা করবেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইজিপি, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।