ক্রাইমবার্তা রিপোট : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ক্রোধ মেটানোর জন্যই সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য মিলনকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
রিজভী বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিলনকে গতরাতে গোয়ানীবাগান চট্টেশ্বরী রোড, চকবাজার চট্টগ্রামে এক বন্ধুর বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। তাকে এখন চাঁদপুর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা গত পরশু দিনই আপনাদের কাছে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলাম- এহসানুল হক মিলনকে পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে। এ জন্য এহসানুল হক মিলন আত্মগোপনে ছিলেন। গতকাল তাকে ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়েছে শুধু নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য।
‘তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
রিজভী আরও বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় গতকাল জামিন নিতে গেল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং কারাবন্দি করা হয়েছে।
‘নির্বাচনের প্রাক্কালে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরানোরই সরকারের একটি অপকৌশল। অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের রূপনগর থানা বিএনপি নেতা মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান ও মো. মাসুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থানাধীন বাসুদেব ইউনিয়ন যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রিজভী।